বাজারে খোলা ও প্যাকেটজাত চিনির দাম কেজিতে ১৬ টাকা বৃদ্ধি করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। প্রতি কেজি খোলা চিনির দাম ঠিক করা হয়েছে ১২০ টাকা আর প্যাকেটজাত চিনি কিনতে হবে ১২৫ টাকায়।

আগে প্রতি কেজি খোলা চিনির দাম ছিল ১০৪ টাকা আর প্যাকেটজাত ১০৯ টাকা।

আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির মূল্য ও ডলারের দাম বাড়ার কারণে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ। সচিবালয়ে বুধবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। খবর ইন্ডিপেনডেন্ট অনলাইনের।

বাণিজ্যসচিব বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত চিনির দাম ও ডলারের মূল্যবৃদ্ধি পাওয়ায় চিনির আমদানি কমেছে। কয়েক দিন আগে বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়ে দাম সমন্বয় করার অনুরোধ জানালে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনকে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়।

‘এরপর ট্যারিফ কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী খোলা চিনি প্রতি কেজি ১২০ টাকা ও প্যাকেটজাত চিনি প্রতি কেজি ১২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এই দামে চিনি বিক্রয়ের জন্য বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশনকে মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে। তবে তারা আমাদেরকে এ বিষয়ে এখনো কিছু জানায়নি।’

মূল্যবৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে চিনি আমদানিতে শুল্কছাড়ের মেয়াদ বাড়াতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) চিঠি দেওয়া হবে বলেও জানান বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ।

তিনি বলেন, ‘চিনির জন্য শুল্কছাড় এখনো বলবৎ রয়েছে। এটা ৩১ মে শেষ হবে। চিনির জন্য শুল্কছার অব্যাহত রাখার জন্য আমরা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে চিঠি পাঠাব। যেহেতু চিনির দাম বেড়েছে, এ জন্য আমরা শুল্কহার আরও কমানোর জন্য সুপারিশ করব।