অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের অভিযানে গ্রেপ্তার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলার আসামি। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

বাংলাদেশ পুলিশের অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ) অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমপি) পলাতক এক নারী সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। পৃথক অভিযান চালিয়ে এটিইউ এক সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করেছে।

গ্রেপ্তার আসামিদের নাম উম্মে কুলসুম ওরফে তামান্না ওরফে পারুমী ওরফে পারুল ওরফে আসিয়া এবং মো. আরমান (৩২)। উম্মে কুলসুম ওরফে তামান্না ওরফে পারুমী ওরফে পারুল ওরফে আসিয়া ঢাকার কদমতলী থানায় দায়ের একটি মামলার পরোয়ানাভুক্ত পলাতক আসামি। আর আরমান চট্টগ্রামের চান্দগাঁও থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের একটি মামলার পলাতক আসামি।

এটিইউর মিডিয়া অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস উইংয়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসলাম খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ৩ মে (বুধবার) জানানো হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এটিইউর একটি দল ৩ মে ভোর ৫টার দিকে রাজধানীর মিরপুর-১২-এর ব্লক-সি এলাকায় অভিযান চালিয়ে জেএমবি সদস্য উম্মে কুলসুম ওরফে তামান্না ওরফে পারুমী ওরফে পারুল ওরফে আসিয়াকে গ্রেপ্তার করে। ২০০৭ সালে জেএমবির সক্রিয় সদস্য আবু বক্কর সিদ্দিককে বিয়ের পর থেকে তিনি সক্রিয়ভাবে জেএমবির কাজে অংশগ্রহণ করেন। পরে ২০১০ সালে তাঁর বিরুদ্ধে কদমতলী থানায় মামলা হলে তিনি আত্মগোপন করেন। পলাতক থাকা অবস্থায় প্রথম কিছুদিন তিনি মগবাজারে এক বান্ধবীর বাসায় ছিলেন। পরে তিনি গাজীপুরের টঙ্গীতে কয়েকটি মাদরাসায় চাকরি করেন। এই সময় উম্মে কুলসুম নিজের প্রকৃত পরিচয় সম্পূর্ণরূপে আড়ালে রেখেছিলেন। এ জন্য তিনি গাজীপুর থেকে নিজের ও মা-বাবার নাম পরিবর্তন করে নতুন জন্মসনদ ও ভোটার আইডি কার্ড তৈরি করেন। সর্বশেষ তিনি মিরপুর-১২-তে বসবাস শুরু করেন। তাঁর বিরুদ্ধে ভিন্ন ভিন্ন মামলায় মোট তিনটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মুলতবি রয়েছে।

এদিকে এটিইউর আরেকটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২ মে (মঙ্গলবার) সকাল ৮টার দিকে চট্টগ্রাম মহানগরের চান্দগাঁও থানা এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে মো. আরমানকে গ্রেপ্তার করে। তিনি চান্দগাঁও থানায় ২০১৫ সালে দায়ের সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলার পলাতক আসামি। জামিন নিয়ে তিনি ৪-৫ বছর ধরে পলাতক ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে চান্দগাঁও থানার ওই মামলাসহ চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানা, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের চান্দগাঁও ও বাকলিয়া থানায় ১০টি মামলা রয়েছে।