ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন অ্যান্ড ডিবি-দক্ষিণ) মোঃ মাহবুব আলম বিপিএম, পিপিএম(বার)। ছবি: ডিএমপি নিউজ

সংঘবদ্ধ চোর চক্রের ৭ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা উত্তরা বিভাগ। রাজধানীর উত্তরা প্যারাডাইস টাওয়ারে চুরির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। খবর ডিএমপি নিউজের।

আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন অ্যান্ড ডিবি-দক্ষিণ) মো. মাহবুব আলম বিপিএম, পিপিএম (বার)।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মো. জামাল উদ্দিন, শফিক ভূইয়া ওরফে বাছা, জসিম উদ্দীন, কাদের কিবরিয়া ওরফে বাবু, মো. শাকিল, আলামিন ও মুক্তা আক্তার। গতকাল সোমবার ধারাবাহিক অভিযানে রাজধানীর ডেমরা ও কুমিল্লা জেলার কান্দিরপাড় এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাঁদের হেফাজত থেকে চুরির কাজে ব্যবহৃত ১টি হাতুড়ি, ১টি লোহার রেঞ্জ, ৩টি হ্যাক্সো ব্লেড ৩টি স্ক্রু ড্রাইভার, ২০টি সিম কার্ড জব্দ করা হয়।

ডিবির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার বলেন, গত ১১ জুন ঢাকা মহানগরীর উত্তরা পশ্চিম থানার প্যারাডাইস টাওয়ারের ৮ম তলায় গোল্ডেন টাচ ইমপোর্ট ইনকরপোরেশন অফিসে চুরির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গত ১৩ জুন উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা হয়। এই মামলার ছায়া তদন্ত শুরু করে গোয়েন্দা উত্তরা বিভাগের উত্তরা জোনাল টিম। মামলা তদন্তকালে ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় এ চুরির ঘটনায় অভিযুক্তদের শনাক্ত করা হয়। তিনি বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় সুউচ্চ টাওয়ারে অবস্থিত বিভিন্ন নামিদামি অফিসে চুরি করার জন্য টার্গেট করে। সেবাগ্রহীতার বেশে এই চোর চক্রের সদস্যরা প্রথমে টার্গেটকৃত অফিসকে ২/৩ দিনব্যাপী রেকি করার মাধ্যমে চুরির কৌশল রপ্ত করে। টার্গেটকৃত এসব অফিসের তালা, সিকিউরিটি লক, ডিজিটাল লক ও অফিস কক্ষের ড্রয়ার ভেঙে মূল্যবান মালামাল ও টাকাপয়সা চুরি করে সুকৌশলে বের হয়ে চলে যায়।

যুগ্ম পুলিশ কমিশনার মাহবুব আলম আরও বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা আদাবর টাওয়ারের ৪র্থ তলার এক্সপার্ট গ্রুপে, কাকরাইল নাসির উদ্দিন টাওয়ারের ১০ম তলায় আমিন গ্রুপে, গুলশান জব্বার টাওয়ারের ১৯ তলায় এসিউর গ্রুপে, বাড্ডা রূপায়ন টাওয়ারের ৬ষ্ঠ তলায় অবস্থিত সফট লিংক কোম্পানিতে ও ৭ম তলায় অবস্থিত এক্সজিবল কোম্পানির অফিসে চুরি করেছে মর্মে প্রাথমিক তথ্য পাওয়া গেছে। উক্ত ঘটনাস্থলসমূহের সংগৃহীত সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনায় এর প্রমাণ পাওয়া যায়।

সিসিটিভি মনিটরিংয়ের ঘাটতি রয়েছে জানিয়ে এই যুগ্ম পুলিশ কমিশনার বলেন, এই মামলা তদন্তে প্রতীয়মান হয় যে সুউচ্চ ভবনের অফিসগুলোতে স্থাপিত সিসিটিভি কেন্দ্রীয়ভাবে মনিটর করা হয় না। যার কারণে এসব অফিসে চুরি করা সহজ হয়ে যায়। অফিস কিংবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে স্থাপিত সিসিটিভি মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য অফিস মালিক ও ব্যবসায়ীদের প্রতি আহবান জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।

গোয়েন্দা উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার কাজী শফিকুল আলম, বিপিএম-এর নির্দেশনায় অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার আছমা আরা জাহানের তত্ত্বাবধানে উত্তরা জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার বদরুজ্জামান জিল্লু-এর নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালিত হয়।