জয়ের আনন্দে উচ্ছ্বসিত নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটাররা। ছবি: সংগৃহীত

২০১৯ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল ইংল্যান্ড। এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে সে হারের প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগ আসে কিউইদের সামনে। সেই সুযোগ ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছেন কেন উইলিয়ামসনরা। শক্তিশালী ইংল্যান্ডকে ৫ উইকেটে হারিয়ে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছে গেল ব্ল্যাক ক্যাপসরা।

ডেভন কনওয়ে, ড্যারিল মিচেল এবং জিমি নিশামের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ১ ওভার হাতে রেখে ইংল্যান্ডের ছুড়ে দেওয়া ১৬৬ রানের বাধা অতিক্রম করেছে নিউজিল্যান্ড।

শেষ দুই ওভারে প্রয়োজন ২০ রান। সেট হওয়া ব্যাটসম্যান ড্যারিল মিচেল ছিলেন উইকেটে। ইংলিশ বোলার ক্রিস ওকস। দুটি ছক্কা এবং একটি বাউন্ডারি মারলেন মিচেল। সিঙ্গেল ২টি এবং ডাবল নিলেন ১টি। ওভারের শেষ বলটিকে ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার দিয়ে বাউন্ডারিতে পাঠিয়ে বিজয়ের উল্লাসে মেতে ওঠে নিউজিল্যান্ড।

একসময় তো মনে হচ্ছিল, এত স্লো ব্যাটিং করছে নিউজিল্যান্ড! তাহলে কীভাবে তারা ফাইনালে যাবে? কারণ, প্রথম ১০ ওভারে রান উঠেছে কেবল ৫৮। পরের ৯ ওভারে নিউজিল্যান্ড রান তুলেছে ১০৯।

গ্লেন ফিলিপস আউট হওয়াটাই যেন কিউইদের জন্য শাপে বর হয়েছে। কারণ, ফিলিপস আউট হওয়ার পরই মাঠে নামেন জিমি নিশাম। মাঠে নেমেই রীতিমতো ঝড় তোলেন। খেলেছেন কেবল ১১ বল। তাতেই ৩টি ছক্কা এবং ১টি বাউন্ডারি মেরে নিউজিল্যান্ডের রানের চাকা সচল করে দেন তিনি। আদিল রশিদের বলে ১৮তম ওভারের শেষ বলে মরগ্যানের হাতে ধরা পড়লেও ততক্ষণে ড্যারিল মিচেলকে নিয়ে মূল কাজটি করে ফেলেন জিমি নিশাম।

পরের ওভারে তো ড্যারিল মিচেল একাই সব কাজ সেরে ফেলেন। ক্রিস ওকসের ওভার থেকেই ২০ রান নেন। পরের ওভার পর্যন্ত আর খেলাকে টেনে নিতে দেননি।

সংক্ষিপ্ত স্কোর :

ইংল্যান্ড : ১৬৬/৪, ২০ ওভার (মঈন ৫১*, মালান ৪১, নিশাম ১/১৮)।

নিউজিল্যান্ড : ১৬৭/৫, ১৯ ওভার (মিচেল ৭২*, কনওয়ে ৪৬, লিভিংস্টোন ২/২২)।

ফল : নিউজিল্যান্ড ৫ উইকেটে জয়ী।

ম্যাচ সেরা
: ড্যারিল মিচেল (নিউজিল্যান্ড)।