যশোরের অভয়নগরে রকিব হত্যায় জড়িত অভিযোগে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হওয়া চরমপন্থী সদস্য জুয়েল। ছবি: যশোর জেলা পুলিশ

গত ১২ মে রাত আটটার দিকে অভয়নগর থানাধীন দত্তগাতী গ্রামের দত্তগাতী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছে রকিবুল ইসলাম তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে যাওয়ার পথে দুষ্কৃতকারীরা রকিবুলকে পেটে ও মাথায় গুলি করে হত্যা করে। এ ঘটনায় অভয়নগর থানায় ১৩ মে মামলা হয়।

একই এলাকায় গত ১১ জানুয়ারি সকালে স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ী সুব্রত মণ্ডলকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়। ঘটনাটিগুলো চাঞ্চল্যকর হওয়ায় জেলা পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার বিপিএম (বার), পিপিএম থানা-পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশকে আসামিদের শনাক্ত করে গ্ৰেপ্তারে কঠোর নির্দেশ দেন এবং রকিবুল ইসলাম হত্যা মামলাটি জেলা গোয়েন্দা শাখায় তদন্তের জন্য ন্যস্ত করেন।

মামলাটি তদন্তকালে এর আগে ৬ জন আসামিকে গ্রেপ্তার ও অস্ত্র-গুলির অংশবিশেষ জব্দ করা হয়। সে সময় থেকে ঘটনার অন্যতম আসামি জুয়েল, রাজু, সাগর পলাতক থাকে। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ওসি ডিবি রুপন কুমার সরকার পিপিএম (বার)-এর তত্ত্বাবধানে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শেখ আবু হাসানের নেতৃত্বে এসআই মফিজুল ইসলাম পিপিএমসহ অন্যান্য অফিসার ও ফোর্সের সমন্বয়ে একটি চৌকস দল শনিবার ঢাকার সাভার থানাধীন নিমেরটেক এলাকায় অভিযান চালিয়ে রকিবুল হত্যার অন্যতম পলাতক আসামি নিউ কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য সোলায়মান মোল্লা ওরফে জুয়েলকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাঁকে নিয়ে স্বীকারোক্তি অনুযায়ী অভয়নগর থানাধীন দত্তগাতী গ্ৰামে পলাতক আসামি জিয়াউর রহমানের বসতবাড়ির গোয়ালঘর-সংলগ্ন কক্ষে বালুর বস্তা থেকে একটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় এসআই শেখ আবু হাসান বাদী হয়ে এজাহার দায়ের করলে অস্ত্র আইনে নিয়মিত মামলা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, ধৃত ও পলাতক আসামিরা নিষিদ্ধঘোষিত চরমপন্থী সংগঠন নিউ কমিউনিস্ট পার্টির সক্রিয় সদস্য। তাঁরা খুলনা ফুলতলার শিমুল ভুইয়ার নির্দেশে দত্তগাতী সাইফুল আলম মেম্বারের নেতৃত্বে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও চাঁদাবাজির জন্য রকিবুল ইসলাম ও সুব্রত মণ্ডলকে হত্যা করে বলে জানা যায়। জড়িত অন্যান্য চরমপন্থী সংগঠনের সদস্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।