থাইল্যান্ডের সুবর্ণভূমি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মঙ্গলবার জরুরি অবতরণের পর টারমাকে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের বোয়িং ৭৭৭-৩০০ইআর উড়োজাহাজ। ছবি: রয়টার্স

লন্ডন থেকে সিঙ্গাপুরগামী সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজ মাঝ আকাশে তীব্র ঝাঁকুনির (টার্বুলেন্স) শিকার হলে এক যাত্রী নিহত এবং ৩০ জনের বেশি আরোহী আহত হয়েছেন। খবর বিবিসির।

পরে বোয়িং ৭৭৭-৩০০ইআর উড়োজাহাজটি মঙ্গলবার বিকেলে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে জরুরি অবতরণ করে।

বিবিসি জানিয়েছে, ওই উড়োজাহাজে মোট ২১১ জন যাত্রী এবং ১৮ জন ক্রু ছিলেন।

সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে হতাহতের খবর নিশ্চিত করে নিহত ব্যক্তির পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করা হয়েছে।

তারা বলেছে, আহত যাত্রীদের চিকিৎসা দিতে তারা থাই কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কাজ করছে। তাদের একটি দল ব্যাংককে রওনা হয়েছে।

সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের ফ্লাইটএসকিউ৩২১ সোমবার লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে রওনা হয়েছিল।

টার্বুলেন্সের শিকার উড়োজাহাজটির যাত্রীদের সহযোগিতা দিতে ব্যাংককের সুবর্ণভূমি বিমানবন্দরে বেশ কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্স এবং জরুরি উদ্ধারকারী দল পাঠায় থাইল্যান্ড কর্তৃপক্ষ।

সিঙ্গাপুরের যোগাযোগমন্ত্রী চি হং তাত বলেছেন, তাঁর সরকার দুর্ঘটনার শিকার যাত্রী এবং তাঁদের পরিবারকে সব ধরনের সহযোগিতা দেবে।

ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে সিঙ্গাপুরগামী সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের ফ্লাইট এসকিউ৩২১ এর ভেতর যে ঘটনা ঘটেছে, সেটা শোনার পর আমি গভীরভাবে মর্মাহত হয়েছি।’

উড়োজাহাজটির ভেতর প্রকৃতপক্ষে কী হয়েছিল, তা নিয়ে কেউ কেউ সংশয় প্রকাশ করেছেন।

জেনারেল এভিয়েশন এক্সপার্ট জন স্ট্রিকল্যান্ড বিবিসিকে বলেন, ‘লাখ লাখ উড়োজাহাজ আকাশে ওড়ে। সেই তুলনায় মারাত্মক টার্বুলেন্সে হতাহত হওয়ার ঘটনা বিরল। তবে এটা ঠিক যে, মারাত্মক টার্বুলেন্সের সময় অভাবনীয় ঘটনা ঘটতেই পারে, যা থেকে যাত্রীরা আহতও হতে পারেন। দুঃখজনক হলো, এবারের ঘটনায় একজন প্রাণ হারিয়েছেন।”