যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (বাঁয়ে) ও চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের মধ্যকার ভার্চ্যুয়াল বৈঠকটি আজ ১৫ নভেম্বর (সোমবার) অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। বৈঠকটি এমন সময় অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যখন নানা ইস্যুতে দুই দেশের সম্পর্কে শীতলতা আরও বেড়েছে। খবর বিবিসির।

তাইওয়ান, মানবাধিকার, বাণিজ্যসহ নানা বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টার অভিযোগ এই দ্বন্দ্বকে আরও বাড়িয়েছে। সবশেষ তাইওয়ান এবং তার আগে করোনাভাইরাসের উৎস নিয়েও দ্বন্দ্বে জড়িয়েছে দেশ দুটি। তবে স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোয় জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলন চলাকালে গত সপ্তাহে হঠাৎ করেই যুক্তরাষ্ট্র ও চীন যৌথ বিবৃতি দিয়ে সবাইকে চমকে দেয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ১৫ নভেম্বরের বৈঠকে বাইডেন ও সি চিন পিংয়ের মধ্যে সাইবার নিরাপত্তা, বাণিজ্য ও পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে আলোচনা হতে পারে। এর আগে ১২ নভেম্বর এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউস বলেছিল, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে প্রতিযোগিতার বিষয়টি কীভাবে দায়িত্বশীলতার সঙ্গে ব্যবস্থাপনা করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা করবেন দুই নেতা। যেখানে উভয়ের স্বার্থ এক, সে ক্ষেত্রে কীভাবে একসঙ্গে কাজ করা যায়, তারও পথ অনুসন্ধান করবেন তাঁরা।’

গত জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে বাইডেন দায়িত্ব গ্রহণের পর দুই নেতার মধ্যে দুবার আলোচনা হয়েছে। দুজনই স্বীকার করেছেন, দুই দেশের সম্পর্কের শীতলতা নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে। তবে গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কভিত্তিক অলাভজনক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল কমিটি অন ইউএস-চায়না রিলেশনসকে চীনের প্রেসিডেন্ট লিখিতভাবে জানান, সম্পর্ক ঠিক করতে তাঁর দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত। তিনি আরও উল্লেখ করেন, সম্পর্ক ঠিক করতে দুই দেশের পারস্পরিক সহযোগিতাই একমাত্র সমাধান।
আরও পড়ুন
বাইডেন-সি ভার্চ্যুয়াল সম্মেলন হতে পারে ১৫ নভেম্বর