বরিশাল থেকে ঢাকার উদ্দেশে লঞ্চে করে রওনা হয়েছিল কিশোর আরাফাত হোসেন সাকিব (১৪)। ঢাকায় পৌঁছে তাঁর গাজীপুরে বড় ভাইয়ের কাছে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ঢাকার সদরঘাট থেকে তাকে অপহরণ করা হয়। জাতীয় জরুরি সেবার হটলাইন নম্বর ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে সাকিবকে গাজীপুর থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় এক তরুণীকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।

জাতীয় জরুরি সেবার জনসংযোগ কর্মকর্তা ও মুখপাত্র পুলিশ পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার জানান, ২১ ফেব্রুয়ারি সকালে ঢাকার সদরঘাট পৌঁছার পর সাকিব এক যাত্রীর মুঠোফোন থেকে তার বড় ভাইকে ফোন করে জানায় যে সে ঢাকায় পৌঁছেছে। কিন্তু এরপর থেকে তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। এরপর সাকিবের বড় ভাইয়ের মুঠোফোন নম্বরে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা ফোন করে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ চায়।

২২ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৯টার দিকে ৯৯৯-এ ফোন করে সাকিবের বড় ভাই জানান, তাঁর ছোট ভাইকে অপহরণ করা হয়েছে। দুর্বৃত্তরা মুক্তিপণ চাচ্ছে। তাৎক্ষণিক বিষয়টি ঢাকার কোতোয়ালি থানা, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা এবং সদরঘাট নৌ পুলিশ থানাকে অবহিত করা হয়।

সংবাদ পেয়ে সদরঘাট নৌ পুলিশ থানা উদ্ধার অভিযানে নামে। এরপর সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ ও তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে মুক্তিপণ দাবি করার স্থান চিহ্নিত করা হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায়। সেখানে অভিযান চালিয়ে অপহরণে জড়িত থাকার অভিযোগে মনিরা আক্তার সাদিয়া (২২) নামের এক তরুণীকে আটক করা হয়। তাঁর দেওয়ার তথ্যের ভিত্তিতে হবিগঞ্জ ও কুমিল্লার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়। সবশেষ ২৬ ফেব্রুয়ারি গাজীপুরের টঙ্গীর গাজীপুরায় অভিযান চালিয়ে সাকিবকে সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। সদরঘাট নৌ পুলিশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাইয়ুম আলি সর্দার বিষয়টি ৯৯৯ কে নিশ্চিত করেন। এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। অপহরণে জড়িত বাকিদের ধরতে অভিযান চলছে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা আনোয়ার সাত্তার।