এএসআই আমির হামজা। ছবি: পুলিশ নিউজ

ময়মনসিংহের কোতোয়ালি থানায় কর্মরত সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আমির হামজা। । হারিয়ে যাওয়া ২০০ মোবাইল ফোন উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকের হাতে তুলে দিয়েছেন। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই ফোনগুলো উদ্ধার করেন তিনি।

ময়মনসিংহের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জাহিদ সাগর অনলাইন ক্লাস করার জন্য কেনা স্মার্টফোনটি হারিয়ে ফেলেন। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। ফোন উদ্ধারের দায়িত্ব পান এএসআই আমির হামজা। ২০ ফেব্রুয়ারি ফোনটি উদ্ধার করে জাহিদের হাতে তুলে দেন। মোবাইল উদ্ধার ছাড়াও প্রযুক্তিবিষয়ক অপরাধ দমনে সফলভাবে কাজ করছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা। বিকাশের মাধ্যমে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে হাতিয়ে নেওয়ার কয়েকটি ঘটনায় টাকা উদ্ধার করে মালিককে বুঝিয়ে দিয়েছেন। সবশেষ গত রোববার বিকাশে হারানো ১০ হাজার টাকা পাবনা থেকে উদ্ধার করেন। এমন সফলতায় সাধারণ মানুষের আস্থার প্রতীকে পরিণত হয়েছেন আমির হামজা। হারানো ফোন ফিরে পেয়ে অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিচ্ছেন। এভাবে তিনি হয়ে ওঠেছেন জনগণের প্রকৃত বন্ধু। তাঁকে নিয়ে বিভিন্ন গ্রুপে দেওয়া পোস্টগুলো মুহূর্তেই ভাইরাল হচ্ছে। প্রশংসাও পাচ্ছেন তিনি।

এএসআই আমির হামজা বলেন, আগে আমি ৩ বছর ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) কাজ করেছি। সেখানেও শত শত মোবাইল উদ্ধার করেছি। সাইবার ক্রাইম দমনেও আমার সাফল্য ছিল। ছাত্র ও পেশাজীবীরাই মোবাইল হারানোর বেশিরভাগ জিডি করেন। আমি সমান গুরুত্ব দিয়ে তাঁদের মোবাইল উদ্ধারের চেষ্টা করি। অনেক দামি জিনিসের চেয়ে মোবাইল হারানোর কষ্ট অনেক বেশি। কেননা, মোবাইলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য থাকে। ভুক্তভোগীদের ফোন উদ্ধার করে দিলে প্রথমে তাঁরা বিশ্বাসই করতে চান না। অনেকে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ বলেন, এএসআই আমির হামজা প্রযুক্তিগত দিক থেকে দক্ষ। এজন্য মোবাইল হারানোর জিডি হলেই তাঁর ডাক পড়ে। তিনি অনেক পরিশ্রম করে মোবাইলগুলো খুঁজে বের করেন।