উদ্ধার করা টাকা ব্যবসায়ী রফিকুলের হাতে তুলে দেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তফা মঞ্জুরুল। ছবি: আজকের পত্রিকা

জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ থেকে কল পেয়ে ৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবসায়ীর হারিয়ে যাওয়া ১৫ লাখ টাকা উদ্ধার করেছে নীলফামারী সদর থানা-পুলিশ। খবর আজকের পত্রিকার।

শনিবার (১০ জুন) সন্ধ্যায় উদ্ধার করা টাকা ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলামের হাতে তুলে দেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তফা মঞ্জুরুল। এ সময় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মোহাম্মদ শাহরিয়ার, পরিদর্শক (তদন্ত) পলাশ চন্দ্র মণ্ডলসহ পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

ব্যবসায়ী মো. রফিকুল ইসলামের বাড়ি বগুড়ার ধুনটে। তিনি ওই উপজেলার চৌকিবাড়ি এলাকার মৃত আমীর হামজার ছেলে। তিনি নীলফামারী এলাকায় ভুট্টা কিনতে এসেছিলেন।

পুলিশ জানায়, শনিবার বেলা ১১টার দিকে ওই ব্যবসায়ী জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯–এ ফোন করে টাকা হারিয়ে যাওয়ার কথা জানান। তিনি জানান, নীলফামারী সদর উপজেলার পলাশবাড়ী ইউনিয়নের কানাইকাটা এলাকায় চায়ের দোকানে ভুলে ব্যাগ রেখে আসেন। পরে গিয়ে আর ব্যাগটি পাননি। ব্যাগে ১৫ লাখ টাকাসহ গুরুত্বপূর্ণ কিছু কাগজপত্র ছিল।

সংবাদটি পাওয়ামাত্র নীলফামারী সদর থানার মোবাইল টিমের দায়িত্ব থাকা এসআই রনি কুমার পাল কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে সঙ্গে নিয়ে তাৎক্ষণিক বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি শুরু করেন। বেলা ৩টার দিকে চায়ের দোকানদার জবেদ আলীর বাড়ি থেকে টাকার ব্যাগটি উদ্ধার করা হয়। সন্ধ্যায় সদর থানায় সবার উপস্থিতিতে ব্যবসায়ীর হাতে টাকার ব্যাগটি হস্তান্তর করা হয়।

ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভুট্টা কেনার জন্য এসে ১৫ লাখ টাকাসহ ব্যাগ হারানোর পর ৯৯৯-এ ফোন করি। পুলিশের তাৎক্ষণিক পদক্ষেপে হারানো টাকাটা ফিরে পেয়েছি। এ জন্য নীলফামারী সদর থানার ওসি ও পুলিশ প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই।’

নীলফামারীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তফা মঞ্জুরুল বলেন, ‘৯৯৯–এ ফোন পেয়ে আমাদের টিম ঘটনাস্থলে পাঠাই। বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে ৪ ঘণ্টার ব্যবধানে টাকাটা উদ্ধার করতে সক্ষম হই। পরে সন্ধ্যায় টাকার ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলামের হাতে তুলে দেওয়া হয়।’