সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন বাগেরহাটের পুলিশ সুপার কে এম আরিফুল হক পিপিএম। ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ

বাগেরহাট জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের বহিষ্কৃত সাবেক সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম তানু ভুঁইয়া (৩৫) হত্যাকাণ্ডের ২২ ঘণ্টার মধ্যে রহস্য উদঘাটন করেছে বাগেরহাট সদর থানা-পুলিশ।

রোববার (১৩ নভেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার কে এম আরিফুল হক পিপিএম বলেন, শনিবার (১২ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে পিরোজপুরের ইন্দুরকানি থানাধীন বালিপাড়া গ্রাম থেকে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি পিস্তল, একটি গুলি ও একটি ম্যাগজিন জব্দ করা হয়।

পুলিশি হেফাজতে আসামিরা। ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ

আসামিরা হলেন ফরিদ শেখ (২৮), মনির (২৬), রাতুল (২৭), সিরাজুল (২৭), আলামিন (৩০), সুমন (২৬), সোহাগ (২৫), মুকুল শেখ (৫৩) ও কবির (৫০)। আসামিদের প্রত্যেকের বাড়ি বাগেরহাট সদর থানা এলাকায়।

পুলিশ জানায়, গত শুক্রবার (১১ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাগেরহাট সদর থানাধীন পূর্ব বাসাবাটি বগা ক্লিনিক এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতার জেরে ফরিদ শেখ (২৯) ও তাঁর সহযোগীদের গুলিতে আহত হন তানু। উদ্ধার করে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্ত্রী ১৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৭-৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

জব্দ করা পিস্তল ও গুলি। ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ

পুলিশ সুপার কে এম আরিফুল হক পিপিএম বলেন, জেলা পুলিশের বিশেষ শাখা (ডিএসবি), গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) এবং সদর থানা-পুলিশের যৌথ অভিযানে পিরোজপুরের ইন্দুরকানী থানা এলাকা থেকে এজাহারভুক্ত ৮ এবং সন্দিগ্ধ এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।