মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। পুরোনো ছবি

২০২২ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা বছরের মাঝামাঝিতে হতে পারে বলে জানিয়েছেন মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

আজ বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) সকালে সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শন থেকে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। খবর দ্য ডেইলি স্টারের।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এ মুহূর্তে তারিখ বলা সম্ভব না। এ বছর যেমন একেবারে নভেম্বর-ডিসেম্বরে এসে হলো। আমরা আশা করছি, আমরা যেভাবে করোনা মোকাবিলা করতে পেরেছি তাতে আগামী বছর এত দেরি হবে না। অনেক আগেই হয়তো আমরা নিতে পারবো। বছরের প্রথম ভাগে হয়তো হবে না, মাঝামাঝিতে হতে পারে। তার আগে হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম, যদিও আমরা সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করেছি কিন্তু তারপরও আমরা চাই আমাদের পরীক্ষার্থীরা যতদূর সম্ভব ক্লাস করতে পারে। এসএসসি-এইচএসসি দুটিই আমরা বছরের মাঝামাঝিতে নিতে পারব।’

তিনি বলেন, ‘যখন পরিস্থিতি খুব ভালো ছিল, ওমিক্রনের কথা শোনা যায়নি। আমরা নতুন বছরে ক্লাসের সংখ্যা বাড়ানোর কথা ভেবেছিলাম। এই মুহূর্তে সেই পরিকল্পনা স্থগিত আছে। আমাদের অবস্থাটা কোন দিকে যায় সেটা আমাদের দেখতে হবে। আমি আজ বিশেষভাবে আমাদের নির্বাচন কমিশনকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাতে চাই, কারণে ২৩ ডিসেম্বরে আমাদের পরীক্ষা আছে, ২৩ ডিসেম্বর একটি নির্বাচনেরও তারিখ পড়েছিল। দুই জায়গায় সমন্বয় করেই তারিখগুলো ঠিক করা হয়েছিল কিন্তু কোনো কারণে হয়তো ভুল হয়েছিল। তারা সেই নির্বাচনের তারিখ পিছিয়েছেন।’

প্রশ্নফাঁসের বিষয়ে দীপু মনি বলেন, ‘আমরা মোটামুটি নিশ্চিত বলতে পারি যে, প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার আসলে সুযোগ নেই। একমাত্র পরীক্ষা হলে প্রশ্ন যাওয়ার পরে যদি কেউ কিছু করে। ইলেকট্রনিক ডিভাইসের মাধ্যমে আমরা ধরতে পারলাম না। কিন্তু তখন প্রশ্ন বাইরে গিয়েও তো লাভ নেই। পরীক্ষার্থীর কোনো লাভ হচ্ছে না। কিন্তু কেউ গুজব ছড়ানোর জন্য কিংবা আমাদের ব্যবস্থাপনার দুর্নাম করার জন্য, প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য অপপ্রচার চালাতে পারে। যারাই গুজব ছড়ানো বা প্রশ্নপত্র সংক্রান্ত কোনো ধরনের অনৈতিক কর্মকাণ্ডে কোনোভাবে সংশ্লিষ্ট থাকলে, তাদের মধ্যে যাদের ধরা যাবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোরতম ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’