মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পুরস্কার নিচ্ছেন কক্সবাজার জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) জসিম উদ্দীন চৌধুরী। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

কক্সবাজার জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) জসিম উদ্দীন চৌধুরী, পিপিএম-সেবা স্মার্ট বাংলাদেশ পুরস্কার-২০২৩’এ ভূষিত ভূষিত হয়েছেন।

পর্যটন নগরী কক্সবাজারে যানবাহন চালকদের স্মার্ট ডাটাবেস ‘কক্স-ক্যাব’ উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়নের জন্য জাতীয় পর্যায়ে সাধারণ-সরকারি (শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি) ক্যাটাগরিতে তিনি এ পুরস্কার পান।

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠিত বর্ণাঢ্য এক অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর প্রণীত নতুন এই জাতীয় পুরস্কারটি বিজয়ীদের হাতে তুলে দেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

পর্যটন নগরীতে নিরাপদ ও পর্যটনবান্ধব ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা প্রবর্তনের লক্ষ্যে কক্সবাজার ট্রাফিক বিভাগের ‘কক্স-ক্যাব’ উদ্যোগটির আওতায় ইতোমধ্যে সাড়ে ৩ হাজার যানবাহন চালকদের ছবিসহ বিস্তারিত তথ্য স্মার্ট ডাটাবেস ইনপুট দেওয়া হয়েছে। ৩ হাজার ৩০০ চালকদের মাঝে কক্স-ক্যাবের লোগো সংবলিত ভেস্ট (পোশাক) বিতরণ করা হয়েছে। প্রায় আড়াই হাজার চালককে স্মার্ট কার্ড দেওয়া হয়েছে, যার এক পাশে চালকের ছবি ও অন্য পাশে কিউ.আর কোড রয়েছে। কিউ.কোড স্ক্যান করলে মোবাইলে চালকের ছবিসহ বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে। স্মার্ট কার্ডে ট্যুরিস্ট পুলিশের ডিউটি অফিসারের নম্বর, জেলা পুলিশ কন্ট্রোল রুমের নাম্বার এবং জাতীয় জরুরি সেবার নাম্বার রয়েছে। যেকোনো যাত্রী বা পর্যটক হয়রানির শিকার হলে সহজে অভিযোগ জানাতে পারবেন বা সহযোগিতা চাইতে পারবেন।

কক্স-ক্যাব ডাটাবেসের ওয়েবসাইট www.coxscab.com ভিজিট করলে পর্যটকেরা পাবেন একটি পূর্ণাঙ্গ ট্যুরিস্ট গাইডও। সকল হোটেল-মোটেল-রিসোর্ট, ক্যাফে-রেস্টুরেন্ট, পর্যটন স্পট, রেন্ট-এ কার ও ট্যুর এন্ড ট্রাভেল এজেন্সির তালিকা এবং পর্যটন এলাকায় চলাচলরত ইজিবাইকের ভাড়ার তালিকাও এ ট্যুরিস্ট গাইডে সংযোজিত হয়েছে। ‘কক্স-ক্যাব’ উদ্যোগ বাস্তবায়নের পর থেকে পর্যটন নগরীতে রোহিঙ্গা চালক, অপ্রাপ্ত বয়স্ক ও অনিরাপদ চালকদের গাড়ি চালানো থেকে নিবৃত্ত করা সম্ভব হয়েছে। যার ফলে পর্যটন এলাকায় চুরি, ছিনতাইসহ পর্যটক হয়রানি অনেক হ্রাস পেয়েছে।