জয় উদযাপনে ব্যস্ত ফরাসি ফুটবলাররা। ছবি: সংগৃহীত

আরেকটি প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখল ফ্রান্স। পিছিয়ে পড়েও দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে স্পেনকে হারিয়ে উয়েফা নেশন্স লিগের শিরোপা জয়ের উৎসবে মাতল দিদিয়ে দেশমের দল। প্রথম দল হিসেবে বিশ্বকাপ, ইউরো ও নেশন্স লিগ জয়ের কীর্তি গড়ল ফ্রান্স।

রোববার (১০ অক্টোবর) রাতে মিলানের সান সিরো স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় আসরের ফাইনালে ২-১ গোলে জিতেছে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।

মিকেল ওইয়ারসাবাল স্পেনকে এগিয়ে নেওয়ার পর চমৎকার গোলে সমতা ফেরান করিম বেনজেমা। জয়সূচক গোলটি করেন কিলিয়ান এমবাপে।

এর আগে, সেমিফাইনালে দুই গোলে পিছিয়ে পড়ার পর ৩-২ ব্যবধানে জিতেছিল ফরাসিরা। তিন দিনের ব্যবধানে ঘুরে দাঁড়ানোর আরেকটি নজির গড়ল তারা।

প্রথমার্ধে বল দখলে স্পেন আধিপত্য করলেও কোনো দলের আক্রমণেই ছিল না ধার। বিরতির আগে ধাক্কা খায় ফরাসিরা। চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন ডিফেন্ডার রাফায়েল ভারানে।

৬৪তম মিনিটে এগিয়ে যায় স্পেন। সের্হিও বুসকেতসের থ্রু বল ধরে সঙ্গে লেগে থাকা ডিফেন্ডারের বাধা এড়িয়ে ডি-বক্সে ঢুকে বাঁ পায়ের শটে দূরের পোস্ট দিয়ে ঠিকানা খুঁজে নেন ওইয়ারসাবাল।

এক মিনিট পরই বেনজেমার অসাধারণ গোলে সমতায় ফেরে তারা। এমবাপের পাসে ডি-বক্সের বাঁ দিক থেকে রিয়াল মাদ্রিদ তারকার বাঁকানো শট দূরের পোস্টের ওপরের কোনা দিয়ে জাল খুঁজে নেয়।

৮০তম মিনিটে কিছুটা সৌভাগ্যসূচক গোলে এগিয়ে যায় ফ্রান্স। থিও এরনঁদেজের বাড়ানো বলে অফসাইড পজিশনে ছিলেন এমবাপে। কিন্তু বল স্প্যানিশ ডিফেন্ডার গার্সিয়ার পায়ে লেগে আসায় অফসাইডের বাঁশি বাজেনি। বল ধরে দারুণ ফিনিশিংয়ে দলকে এগিয়ে নেন পিএসজি ফরোয়ার্ড।

৮৮তম মিনিটে ম্যাচে ফেরার সুযোগ পায় স্পেন। বাঁ দিক থেকে আলোনসোর ক্রস ডি-বক্সে খুঁজে পায় ওইয়ারসাবালকে। তার ভলি দারুণ দক্ষতায় ঠেকিয়ে দেন লরিস। যোগ করা সময়ে আরেকটি দুর্দান্ত সেভে দলের জয় নিশ্চিত করেন তিনি।