অং সান সু চি

মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চিকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন মিয়ানমারের সামরিক আদালত।

নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তাঁকে এই শাস্তি দেওয়া হয়। বিচার প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত এক সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। খবর আজকের পত্রিকার।

নোবেল বিজয়ী ও গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চিকে গত বছরের শুরুর দিকে একটি সামরিক অভ্যুত্থানের পর আটক করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের করা নানা অভিযোগে ইতিমধ্যে ১৭ বছরের কারাদণ্ড পেয়েছেন অং সান সু চি। তিনি অবশ্য সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। 

২০২০ সালের নভেম্বরের নির্বাচনে সেনাসমর্থিত শক্তিশালী দলকে পরাজিত করে ক্ষমতায় বসেছিল সু চির ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি)। সেই নির্বাচনে তিনি জালিয়াতি করেছিলেন বলে আজ শুক্রবার মিয়ানমারের সামরিক আদালত রায় দিয়েছেন। রায়ে তিন বছরের কারাদণ্ডসহ ‘কঠোর শ্রমের’ উল্লেখ করা হয়েছে। 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে আদালত সূত্রটি রয়টার্সকে বলেছে, কঠোর শ্রম কী হবে, তা স্পষ্ট নয়। সু চির সঙ্গে পদচ্যুত প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টকেও একই শাস্তি দেওয়া হয়েছে। 

রয়টার্স জানিয়েছে, গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার অনুমতি না থাকায় আদালত সূত্রের নাম প্রকাশ করা হয়নি। মিয়ানমারের সামরিক সরকারের একজন মুখপাত্রকে সু চির রায়ের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে তিনি বলেছেন, সু চির বিচার যথাযথ প্রক্রিয়ায় হচ্ছে। 

২০২০ সালের নভেম্বরের নির্বাচনে জয়লাভ করার পরই সামরিক বাহিনী সু চির বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ তুলেছিল। তবে এনএলডি সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছিল এবং সু চির সরকার তখন সেই অভিযোগের তদন্ত করেনি। 

৭৬ বছর বয়সী সু চির বিরুদ্ধে দুর্নীতি, ভোট জালিয়াতি, উসকানি, রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা ফাঁসসহ নানা অভিযোগে এক বছরের বেশি সময় ধরে বিচার চলছে। সব মিলিয়ে ১৯০ বছরের বেশি সাজা হয়েছে তাঁর।