বগুড়া জেলাকে মাদকমুক্ত করতে প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে জেলা পুলিশ। তারই অংশ হিসেবে গত ২ মাসে জেলার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে এবং চেকপোস্ট বসিয়ে সাত মণ গাঁজা জব্দ করেছে পুলিশ, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় পৌনে ২ কোটি টাকা। খবর বিডিজার্নালের।

জেলা পুলিশ জানায়, গত ২ মাসে জেলায় গাঁজা উদ্ধার-সংক্রান্ত মামলা হয়েছে ১৯২টি, যেখানে আসামি করা হয়েছে ২৬৮ জনকে। তাদের মধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছে ২৪৭ জন।

বগুড়া জেলা পুলিশের বিভিন্ন অভিযানের প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা যায়, গত জুলাই আগস্ট মাসে জেলা পুলিশের অভিযানে প্রায় ১১০ কেজি গাঁজা জব্দ করা হয়। মামলা দায়ের করা হয় ২৬টি, যার আসামি ৪২ জন। এর মধ্যে ৪০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়াও মামলার আসামিদের ধরতে চালানো অভিযানে আরও ৮০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছে থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ২২ কেজি ৭০০ গ্রাম গাঁজা।

গত আগস্ট মাসে বগুড়া জেলা পুলিশের অভিযানে ১০৭ কেজি ৪৭০ গ্রাম গাঁজা জব্দ করা হয়। শুধু গাঁজা-সংক্রান্ত ৩৪টি মামলায় আসামি করা হয় ৪৯ জনকে। তাদের মধ্যে ৪৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া আগের ৬৪টি মামলায় এজাহারভুক্ত ৮৯ জন আসামির মধ্যে ৮৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় আরও ৩৬ কেজি ১০৯ গ্রাম গাঁজা জব্দ করা হয়।

বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরাফত ইসলাম জানান, গত ২ মাসে মাদকবিরোধী অভিযানে শুধু গাঁজা উদ্ধারের পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বগুড়াকে ট্রানজিট সড়ক হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু জেলা পুলিশের দক্ষতায় তা সফল হয়নি। গত ৩১ জুলাই নন্দীগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে বগুড়া-নাটোর মহাসড়কে পাথরবোঝাই ট্রাক থেকে ৫০ কেজি গাঁজা জব্দ করা হয়। অভিযানে গ্রেপ্তার ট্রাকচালক ও তাঁর সহকারী জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, তাঁরা গাঁজাগুলো লালমনিরহাটের বুড়িমারী থেকে পাবনা নিয়ে যাচ্ছিল।

বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী বিপিএম বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে বগুড়া জেলা পুলিশ সর্বদা জিরো টলারেন্স ও আপোসহীন। জেলায় সুষ্ঠু আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখার পাশাপাশি বগুড়া জেলা পুলিশের প্রতিটি ইউনিট মাদক ও সন্ত্রাস দমনে নিজেদের সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে, যার ধারাবাহিকতা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে।