স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে শারীরিক উপস্থিতিতে আজ বুধবার শুরু হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম। দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে দেড় বছর ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে বিচার কার্যক্রম চলে। খবর বাসসের।

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির আপিল বিভাগে আজ বুধবার সকাল ৯টায় দিনের কার্যতালিকা অনুযায়ী মামলার বিচারকার্য শুরু হয়।

প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে আদালত চলাকালীন অনেক মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। এই সময়ে আপিল বিভাগে থাকা ২৪ হাজার মামলার মধ্যে নিষ্পত্তি হয়ে এখন সাড়ে ১৫ হাজারের মতো মামলা রয়েছে।’

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হলে গত বছর দেশে আদালতের স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। তবে বিচার বিভাগকে সচল রাখার লক্ষ্যে ২০২০ সালের ৭ মে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘আদালত কর্তৃক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ- ২০২০’ এর খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।

তার দুই দিন পর ৯ মে ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতিকে সশরীরে উপস্থিতি হিসেবে গণ্য করে অধ্যাদেশটি জারি করেন মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ। এরপর গত বছরের ১০ মে ভার্চ্যুয়াল আদালত পরিচালনাসংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করে ১১ মে থেকে সীমিত পরিসরে বিচারিক কার্যক্রম শুরুর মাধ্যমে দেশে ভার্চ্যুয়াল আদালতের দরজা খুলে দেন সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন জারি করে প্র্যাকটিস ডাইরেকশন।

এর মধ্য দিয়ে দেশের বিচার বিভাগ ডিজিটাল যুগে প্রবেশ করে। প্রথমে দেশের অধস্তন আদালত, এর পর হাইকোর্ট এবং পরবর্তী সময়ে সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার কোর্ট ও আপিল বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম চলতে থাকে ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে।

গত ২৯ নভেম্বর প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন জ্যেষ্ঠ বিচারপতিদের সঙ্গে আলোচনাক্রমে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে ১ ডিসেম্বর থেকে শারীরিক উপস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের উভয় (হাইকোর্ট ও আপিল) বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনার সিদ্ধান্ত দেন। সে অনুযায়ী আজ শারীরিক উপস্থিতিতে সর্বোচ্চ আদালতে কার্যক্রম শুরু হলো।