স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যাকবলিত সিলেট ও সুনামগঞ্জে বানভাসিদের মানবিক সহায়তা দিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছেন ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার)।
আজ বৃহস্পতিবার সুনামগঞ্জ জেলা শহর থেকে দূরবর্তী বাদাঘাট হাইস্কুল মাঠ, আমবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বিশ্বম্ভরপুর থানায় আশ্রয় নেওয়া বানভাসিদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করেন তিনি।
আইজিপি প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে স্পিডবোটে অবস্থান করে বন্যার্তদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণের পাশাপাশি তাঁদের খোঁজখবর নেন।
আইজিপি বিশ্বম্ভরপুর থানা ভবনে আশ্রয় নেওয়া ৩২টি পরিবারের সদস্যদের দেখতে যান। তিনি তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের প্রত্যেকের প্লেটে পুলিশের রান্না করা খাবার তুলে দেন।
এ ৩২টি পরিবারকে প্রতিদিন পুলিশের রান্না করা খাবার দেওয়া হচ্ছে। বন্যা শুরুর পর থেকেই বন্যাদুর্গত মানুষকে থানা, ফাঁড়িসহ পুলিশের বিভিন্ন স্থাপনায় আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।
পরে বিশ্বম্ভরপুর থানা প্রাঙ্গণে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আইজিপি বলেন, ‘আকস্মিক বন্যায় অনেক মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। তাদের পশুপাখির ক্ষতি হয়েছে। তাদের দুর্ভোগ লাঘবে সরকার, সেনাবাহিনী, পুলিশসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ কাজ করছেন।’
আইজিপি বলেন, ‘আশার কথা হচ্ছে, বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। বন্যা-পরবর্তী সময়ে ত্রাণ ও পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেওয়া হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা সবাই মিলে এ দুর্যোগ মোকাবিলা করব।’
পরে আইজিপি সিলেটের সাহেবের বাজার হাইস্কুল এবং কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জে ত্রাণ বিতরণ করেন।
পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের ডিআইজি (লজিস্টিকস) মো. তওফিক মাহবুব চৌধুরী, সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মফিজ উদ্দিন আহম্মেদ, এসএমপি কমিশনার নিশারুল আরিফ, সিলেট রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি বিপ্লব বিজয় তালুকদার, সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, সিলেটের পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিনসহ অন্য কর্মকর্তারা ওই সময় উপস্থিত ছিলেন।