সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলায় ডাকাতের সঙ্গে গোলাগুলিতে পাঁচ পুলিশ সদস্য ও ডাকাত দলের এক সদস্য আহত হয়েছেন।

গতকাল রোববার দিবাগত রাত সোয়া দুইটার দিকে উপজেলার কোটার মোড়ে সাতক্ষীরা-যশোর আঞ্চলিক মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় একটি পিস্তল, দুটি গুলিসহ ছয় ডাকাতকে আটক করেছে পুলিশের অন্য সদস্যরা। খবর প্রথম আলোর।

আহত ব্যক্তিরা হলেন—সাতক্ষীরা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর আসাদুজ্জামান, কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাসিরউদ্দীন মৃধা, উপপরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন, এসআই রঞ্জন, কনস্টেবল রাজীব হোসেন ও ডাকাত দলের সদস্য মিজানুর রহমান। তাঁদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ এসআই আনোয়ার হোসেন ও ডাকাত মিজানুর রহমান এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এ ঘটনায় আটক ডাকাত দলের সদস্যরা হলেন—যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার হাজরালি গ্রামের হুমায়ূন কবীর (৩৭), যশোর কোতোয়ালি থানার মোল্লার পাড়ার সাইদুল ইসলাম (৫৬), মিজানুর রহমান (৪৫), শার্শা উপজেলার বসন্তপুর গ্রামের আবুল কালাম (৫৩), আবদুল্লাহ (৩০) ও সাতক্ষীরা শহরের মধ্যকাটিয়ার শেখ সাইদ্দুজামান (২৮)।

আহত অবস্থায় কলারোয়া থানার ওসি মো. নাসিরউদ্দীন মৃধা বলেন, একটি ডাকাত দল ডাকাতির প্রস্তুতি নিয়ে যশোর থেকে সাতক্ষীরার দিকে আসছে—এমন সংবাদের ভিত্তিতে তাঁরা রাত সোয়া দুইটার দিকে সাতক্ষীরা-যশোর সড়কের কলারোয়া উপজেলা মোড়ে যান। সেখানে কয়েকজনকে দুটি প্রাইভেটকার নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে তাঁদের সন্দেহ হয়। এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে ডাকাতেরা গুলি ছোড়েন। পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। গোলাগুলির একপর্যায়ে ডাকাত মিজানুর রহমান ও পুলিশের এসআই আনোয়ার হোসেন গুলিবিদ্ধ হন। এতে আহত হয়েছেন পুলিশের অপর চার সদস্য। এ সময় পালানোর চেষ্টাকালে গুলিবিদ্ধ মিজানুর রহমানসহ ছয়জন ডাকাতকে আটক করা হয়েছে। পরে আহত সবাইকে তালা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।

তালা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক সফিকুর রহমান বলেন, আহত পাঁচ পুলিশ সদস্যকে ভোর চারটার দিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে গুলিবিদ্ধ আনোয়ার হোসেন ও ডাকাত মিজানুর রহমান ছাড়া অন্য সবাই প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন।

এ ঘটনায় আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর আসাদুজ্জামান কলারোয়া থানায় সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে তিনি গোলাগুলির ঘটনার বর্ণনা দেন। তিনি জানান, এ ঘটনায় কলারোয়া থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।