মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ছবি : বাসস

মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, বাণিজ্যের পাশাপাশি ক্রমবর্ধমান খাদ্য, সম্পদ ও শক্তির চাহিদা পূরণে সমুদ্রের সঠিক ব্যবহার অত্যন্ত জরুরি। সমুদ্র সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিতকল্পে সমুদ্রমুখী শিক্ষা এবং সমুদ্রভিত্তিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের যথাযথ বাস্তবায়নে সরকারের পাশাপাশি সচেতন জনসাধারণকে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে হবে।

বুধবার (২১ জুন) ‘বিশ্ব হাইড্রোগ্রাফি দিবস-২০২৩’। এ উপলক্ষে মঙ্গলবার (২০ জুন) দেওয়া এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন। খবর বাসসের।

মহামান্য রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘সরকারের গৃহীত বহুবিধ কর্মপরিকল্পনা এবং সমুদ্রভিত্তিক দক্ষ জনবল তৈরির মাধ্যমে এ দেশের সুনীল অর্থনীতি সংক্রান্ত কার্যক্রম পূর্বের চেয়ে বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় সমুদ্রকে বিজ্ঞানভিত্তিকভাবে জানা ও ফলিত জ্ঞানের প্রয়োগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব হাইড্রোগ্রাফি দিবস’ উদযাপনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে তিনি হাইড্রোগ্রাফিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আন্তমহাদেশীয় নিরাপদ ও নিরবচ্ছিন্ন নৌবাণিজ্য নিশ্চিতকরণে সম্পৃক্ত সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন জানান।

মহামান্য রাষ্ট্রপতি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে যেসব দেশ বিপদগ্রস্ত, তাদের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। নৌবাণিজ্য ছাড়াও সমুদ্র ও সামুদ্রিক পরিবেশ মানবজাতির অস্তিত্বের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সমুদ্র সম্পর্কে বৈজ্ঞানিক তথ্যের অপ্রতুলতা থাকায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সঠিক নীতি নির্ধারণ করা একটি চ্যালেঞ্জিং বিষয়। আমি আশা করি নৌপরিবহন ও ব্লু ইকোনমিক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি সামুদ্রিক পরিবেশ রক্ষায় হাইড্রোগ্রাফি সার্ভিস কার্যকর ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।