মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি : বাসস

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নিরাপদ নৌ চলাচল নিশ্চিত করার মাধ্যমে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে হাইড্রোগ্রাফির তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রয়েছে। সুনীল অর্থনীতিকে আরও বেগবান করার লক্ষ্যে হাইড্রোগ্রাফি পেশার সঙ্গে যুক্ত সবাইকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

বুধবার (২১ জুন) ‘বিশ্ব হাইড্রোগ্রাফি দিবস-২০২৩’। এ উপলক্ষে মঙ্গলবার (২০ জুন) দেওয়া এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন। খবর বাসসের।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব হাইড্রোগ্রাফি দিবস-২০২৩’ উদযাপন করা হচ্ছে জেনে তিনি আনন্দিত।

এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘হাইড্রোগ্রাফি : আন্ডারপিইনিং দ্য ডিজিটাল টুইন অব দ্য ওশান’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, তিনি মনে করেন প্রতিপাদ্যটি বর্তমান সরকারের ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ ধারণার সমার্থক।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ব হাইড্রোগ্রাফি দিবস’ উদযাপনের মাধ্যমে হাইড্রোগ্রাফিক কর্মকাণ্ড ও সমুদ্র বিজ্ঞানের বিভিন্ন দিক দেশের জনগণের সামনে সহজভাবে উপস্থাপন করা সম্ভব হবে বলে আমার বিশ্বাস।’

সমুদ্র তলদেশের বিজ্ঞানভিত্তিক তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর হাইড্রোগ্রাফিক সার্ভিস নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা ২০১০ সালে যুক্তরাজ্য থেকে নৌবাহিনীর জন্য প্রথম হাইড্রোগ্রাফিক সার্ভে জাহাজ সংগ্রহ করি। ২০২০ সালে দেশীয় প্রযুক্তিতে স্থানীয়ভাবে তৈরি আরও দুটি কোস্টাল সার্ভে জাহাজ নৌবাহিনীতে কমিশন লাভ করে। এ ছাড়া নৌবাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রয়াসে যুগোপযোগী প্রযুক্তি, জাহাজ, এয়ারক্রাফট, ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ভেসেল সংযুক্ত করাসহ ফোর্সেস গোল ২০৩০ বাস্তবায়ন দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। নৌবাহিনীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের হাইড্রোগ্রাফিক কর্মকাণ্ড ও প্রশিক্ষণের মান আজ সারা বিশ্বে স্বীকৃত।’

বিশ্ব হাইড্রোগ্রাফি দিবস উপলক্ষে নেওয়া সব কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন তিনি।