আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বিপিএম (বার), পিপিএম আজ রোববার সকালে পুলিশ সপ্তাহ-২০২৪-এর শেষ দিনের প্রথম অধিবেশনে তাঁর সঙ্গে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের সম্মেলনে বক্তব্য দেন। ছবি: পুলিশ নিউজ

ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বিপিএম (বার), পিপিএম মামলার সাজার হার বাড়ানোর জন্য ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন।

তিনি বর্তমানে মামলার সাজার হার বৃদ্ধি পাওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

আইজিপি আজ রোববার সকালে পুলিশ সপ্তাহ-২০২৪-এর শেষ দিনের প্রথম অধিবেশনে তাঁর সঙ্গে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের সম্মেলনে বক্তব্য প্রদানকালে এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) মো. কামরুল আহসান। স্বাগত বক্তব্য দেন অতিরিক্ত আইজিপি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এবং এ সম্মেলন-সংক্রান্ত উপকমিটির সভাপতি মো. আতিকুল ইসলাম।

র‌্যাব মহাপরিচালক এম. খুরশীদ হোসেন, স্পেশাল ব্রাঞ্চের অতিরিক্ত আইজিপি মো. মনিরুল ইসলামসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা সে সময় উপস্থিত ছিলেন।

আইজিপি সব ধরনের চাঁদাবাজি বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছেন।

তিনি চাঁদাবাজি বন্ধে পুলিশের সব ইউনিটের সদস্যদের নিষ্ঠার সঙ্গে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন।

পুলিশপ্রধান স্পর্শকাতর মামলার সাজা নিশ্চিত করার জন্য মাঠপর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন।

পুলিশের সার্বিক কর্মদক্ষতা ও পেশাদারত্বের উৎকর্ষের ফলে ২০২২ সালে সারা দেশে মামলার সাজার হার ১৭ শতাংশ থেকে ১১ শতাংশ বেড়ে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ২৮ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।

আইজিপি বলেন, পুলিশ পেশাদারত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের ফলে বাহিনীর কাছে জনগণের প্রত্যাশার মাত্রা বেড়েছে।

ওই সময় জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী জন-আস্থা অর্জনের লক্ষ্যে আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের জন্য তিনি পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।

চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বিপিএম (বার), পিপিএম বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি সর্বমহলে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে।

পুলিশপ্রধান বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশের অন্যতম অভিযাত্রী বাংলাদেশ পুলিশ।’

ওই সময় তিনি তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞানসমৃদ্ধ স্মার্ট পুলিশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে সকল পুলিশ সদস্যকে ঐক্যবদ্ধভাবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান।

সভায় কিশোর অপরাধ প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহণ, কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রম জোরদার, সৃজনশীল ও উদ্ভাবনী পুলিশিং বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের বিভিন্ন উইং, সিআইডি, পিবিআই এবং এসবি-সংক্রান্ত প্রশাসনিক ও অপারেশনাল বিভিন্ন বিষয় সভায় উপস্থাপন করা হয়। এতে গত বছরের সার্বিক অপরাধ পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয়।