জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল পেয়ে বিক্রি করে দেওয়া তিন মাসের শিশুকে উদ্ধার করেছে ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানা-পুলিশ।

মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) জাতীয় জরুরি সেবার পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গত রোববার (২৬ মার্চ) দুপুরে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে এক নারী জানান, ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানাধীন একটি বেসরকারি শিশু হাসপাতালে তিন মাসের ছেলেকে চিকিৎসা করাতে এসেছিলেন। হাসপাতালের এক আয়ার কাছে শিশুটিকে রেখে শৌচাগারে যান তিনি। ফিরে এসে দুজনের কাউকে খুঁজে পাননি। এমন অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধারের অনুরোধ জানান তিনি।

উদ্ধারকৃত শিশু (তিন মাস)

ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল খায়ের শেখ জানান, খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানা-পুলিশ, জেলা গোয়েন্দা শাখাসহ (ডিবি) জেলা পুলিশের একাধিক দল শিশুটিকে উদ্ধারে তৎপর হয়। ওই বেসরকারি হাসপাতাল ও আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, অভিযোগকারী নারী গত রোববার দুপুরে ওই হাসপাতালে আসেননি, বরং ৯৯৯ নম্বরে ফোন করার পর তিনি হাসপাতালে আসেন। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে নিজেই শিশুটিকে বিক্রি করে দেওয়ার কথা স্বীকার করেন। তাঁর বাড়ি মাদারীপুরের শিবচর থানা এলাকায়।

শিশুটিকে বিক্রির কারণ প্রসঙ্গে তিনি জানান, কাছাকাছি সময়ে তাঁর তিন সন্তানের জন্ম হয়েছে। তাঁর স্বামী প্রবাসী। একই সঙ্গে সন্তান ও সাংসারিক কাজ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন তিনি। পাশাপাশি ছেলেশিশুটির মধ্যে অস্বাভাবিকতা দেখা দেওয়া ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন। স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির দৃষ্টি অন্য দিকে ফেরাতে চুরির গল্প ফাঁদেন তিনি।

এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ওই নারীর দেওয়া তথ্য মতে গত সোমবার (২৭ মার্চ) ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানাধীন লোহারদিয়া থেকে ছেলেশিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। এরপর অভিযোগকারী নারীর স্বজনদের খবর দেওয়া হয়। মিথ্যা অভিযোগ করা সত্ত্বেও স্বজনদের অনুরোধ ও অভিযোগকারীর অসহায়ত্ব বিবেচনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এ সময় শিশুটিকে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।