ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এবং শেরপুর জেলা পুলিশের যৌথ উদ্যোগে শেরপুর পুলিশ লাইনসে বৃহস্পতিবার অগ্নিনির্বাপণ মহড়াবিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: শেরপুর জেলা পুলিশ

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এবং শেরপুর জেলা পুলিশের যৌথ উদ্যোগে শেরপুর পুলিশ লাইনসে অগ্নিনির্বাপণ মহড়াবিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ লাইনসের ভেতরে অগ্নিকাণ্ড সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি ও অগ্নিনির্বাপণের বিভিন্ন কলাকৌশল সম্পর্কে পুলিশ সদস্যদের বাস্তবমুখী অভিজ্ঞতা অর্জনের লক্ষ্যে এ মহড়া অনুষ্ঠিত হয়।

ওই মহড়ায় ফায়ারম্যানদের সহায়তায় শেরপুর পুলিশ লাইনসে কৃত্রিম অগ্নিকাণ্ডের পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়। মহড়ায় ঘরবাড়িতে থাকা গ্যাসের সিলিন্ডারসহ পেট্রোলিয়াম জাতীয় পদার্থে আগুন লাগলে তা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে বিভিন্ন কৌশলসমূহ হাতেকলমে শেখানোর জন্য ভেজা চটের বস্তা, ভেজা কম্বল, হাতের সাহায্যে ও অগ্নিনির্বাপক গ্যাস, এবিসি ড্রাই পাউডারের (ফায়ার এক্সটিংগুইশার) ব্যবহার পুলিশ সদস্যদের শিখিয়ে দেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।

এ সময় আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, কমান্ড্যান্ট (পুলিশ সুপার) ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টার, শেরপুর; সৈয়দ আলমগীর হোসেন, আরআই, পুলিশ লাইনস, শেরপুর; দেলোয়ার হোসেন, স্টেশন ইনচার্জ, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, শেরপুরসহ জেলার বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি রাজধানীর বঙ্গবাজার মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন সময় অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে অগ্নিকাণ্ড সংঘটিত হচ্ছে। এসব অনাকাঙ্ক্ষিত অগ্নিকাণ্ডের কারণে জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে।

অগ্নিনির্বাপণ মহড়ায় অংশ নিয়েছেন পুলিশ সদস্যরা। ছবি: শেরপুর জেলা পুলিশ

অগ্নিদুর্ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতি রোধকল্পে পুলিশ সদস্যদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং অগ্নিনির্বাপণের বিভিন্ন কলাকৌশল তত্ত্বীয় ও হাতে-কলমে শিক্ষাদানের জন্য পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান বিপিএমের পরামর্শ ও নির্দেশক্রমে পুলিশ লাইনসে এই অগ্নিনির্বাপণ প্রশিক্ষণ মহড়াটি অনুষ্ঠিত হয়, যাতে ভবিষ্যতে কোথাও আগুন লাগলে বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যদের অগ্নিনির্বাপণ কাজে পুলিশ সদস্যরা সরাসরি সহযোগিতা করতে পারেন।