শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে সোহাগপুর বিধবাপল্লিতে বসবাসরত বীরাঙ্গনা ও শহীদ জায়াদের শেরপুর পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির (পুনাক) উদ্যোগে উপহারসামগ্রী দেওয়া হয়েছে। নালিতাবাড়ী থানার কাকরকান্দি ইউনিয়নের সোহাগপুর গ্রামে ১ নভেম্বর (মঙ্গলবার) বিকেলে এ উপহারসামগ্রী বিতরণ করা হয়।
শেরপুর পুনাক সভানেত্রী সানজিদা হক মৌর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শেরপুরের পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান বিপিএম। অনুষ্ঠানে বীরাঙ্গনা ও শহীদ জায়াদের শেরপুর পুনাকের পক্ষ থেকে কম্বল, শাড়ি, খাদ্যসামগ্রী (চাল, ডাল, চিনি, তেল, সাবান ইত্যাদি) বিতরণ করা হয়।
পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান বিপিএম তাঁর বক্তব্যের শুরুতে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট শহীদ বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্য ও অন্যদের গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। সেই সঙ্গে একাত্তরে সোহাগপুর গ্রামে যাঁরা শহীদ হয়েছিলেন, তাঁদের গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।
পুলিশ সুপার বীরাঙ্গনা ও শহীদ জায়াদের জন্য স্থায়ী উপার্জনের মাধ্যম হিসেবে ডেইরি ফার্ম করে দেওয়ার উদ্যোগের ঘোষণা দেন। তাঁদের একটি সমবায়ের মাধ্যমে একত্র করে জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মো. কামরুজ্জামান বিপিএম বলেন, যাঁদের রক্তে দেশ স্বাধীন হয়েছে, আমরা একটি স্বাধীন ভূখণ্ড পেয়েছি, তাঁদের রক্তে রঞ্জিত পবিত্র এ ভূমি সোহাগপুর বিধবাপল্লি। তাঁদের পরিবারের পাশে থাকা আমাদের প্রত্যেকের নৈতিক দায়িত্ব। শেরপুর জেলা পুলিশ সব সময় বিভিন্নভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে পাশে থাকার চেষ্টা করবে বলে এ সময় তিনি প্রতিশ্রুতি দেন।
সভাপতির বক্তব্যে শেরপুর পুনাক সভানেত্রী সানজিদা হক মৌ বলেন, পুনাক সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে আছে এবং পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে এগিয়ে নিতে সব সময় কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘যাঁদের জন্য আমরা এই স্বাধীন সোনার বাংলা পেয়েছি, তাঁদের পরিবারের পাশে শেরপুর পুনাক সভানেত্রী হিসেবে থাকতে পেরে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. সোহেল মাহমুদ পিপিএম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নালিতাবাড়ী সার্কেল) আফরোজা নাজনীন, নালিতাবাড়ী পৌরসভার মেয়র মো. আবু বক্কর সিদ্দিক, নালিতাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ এমদাদুল হক এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
১৯৭১ সালের ২৫ জুলাই সকাল সাড়ে সাতটার দিকে নালিতাবাড়ী থানার সোহাগপুর বেনুপাড়া গ্রামে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালায়। এ সময় গ্রামের ১৮৭ জন নিরীহ পুরুষকে নির্মমভাবে গুলি করে ও বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করা হয়। গ্রামের সব পুরুষকে হত্যা করায় স্বাধীনতার পর এ গ্রামের নাম হয় বিধবাপল্লি।
সর্বশেষ সংবাদ
- কমিউনিটি ব্যাংকের পঞ্চম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত
- কুড়িগ্রামে নির্বাচন উপলক্ষে পুলিশের নিরবচ্ছিন্ন ডমিনিশন প্যাট্রলিং
- আরএমপির অভিযানে বিভিন্ন অপরাধে গ্রেপ্তার ১৬
- কিশোর গ্যাং প্রতিরোধে সচেতনতামূলক গান ও র্যালি
- পেরুতে বাস দুর্ঘটনায় নিহত ১৬
- ইসরায়েলি হামলায় ২৪ ঘণ্টায় ৮২ ফিলিস্তিনি নিহত
- ডিএমপির মাদকবিরোধী অভিযানে ২৭ জন গ্রেপ্তার
- ইয়াবাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার বিএমপি ডিবির
- যানজট নিয়ন্ত্রণে সবাইকে আন্তরিক হতে হবে: ডিএমপি কমিশনার
- সিএমপি ডিবির অভিযানে ৮ হাজার ইয়াবাসহ দুজন গ্রেপ্তার