রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এপিবিএনের অভিযানে ৬৮টি সোনার বারসহ গ্রেপ্তার বিমানকর্মী। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রায় আট কেজির ৬৮টি সোনার বারসহ এক বিমানকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। বিমানবন্দরের হ্যাংগারের সামনে ২০ আগস্ট (রোববার) রাত ১০টার দিকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার বিমানকর্মীর নাম শফিকুল ইসলাম (৩৩)। তিনি বিমানের এয়ারক্রাফট মেকানিক। তাঁর কোমরে লুকানো অবস্থায় ৬৮টি সোনার বার পাওয়া গেছে। এগুলোর ওজন ৭ কেজি ৮৮৮ গ্রাম। উদ্ধার করা সোনার বাজারমূল্য ৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা।

এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক জানান, ২০ আগস্ট নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বিমানবন্দরের অ্যাপ্রন সাইডে নজরদারি করছিল এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সাদাপোশাকের গোয়েন্দা দল। সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ বিমানের কুয়ালালামপুর থেকে ছেড়ে আসা ফ্লাইট বিজি-৩৮৩ ঢাকায় অবতরণ করে। সব কার্যক্রম শেষে বিমানটি রাত সাড়ে ৯টায় হ্যাংগারের সামনে পার্ক করে রাখা হয়। বিমানের টেকনিশিয়ান, ক্লিনার এবং অন্য স্টাফরা তাঁদের কাজ শেষ করে একে একে বিমান ত্যাগ করলেও বিমানটির দিকে নজর রাখছিল এপিবিএন। রাত ১০টার দিকে খুবই দ্রুততার সঙ্গে বিমানের এয়ারক্রাফট মেকানিক শফিকুল ইসলামকে বোয়িং-৭৭৭ মডেলের উড়োজাহাজটিতে উঠতে দেখা যায়।

এপিবিএনের এই কর্মকর্তা জানান, শফিকুলের চলাচলের ধরন দেখে সন্দেহ হয় এয়ারপোর্ট এপিবিএনের গোয়েন্দা দলের। কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি নেমে দ্রুত স্থান ত্যাগ করার চেষ্টা করলে তাঁকে আটক করা হয়। আটকের পর তাঁকে হ্যাংগারের সামনেই বিভিন্ন এজেন্সির উপস্থিতিতে তল্লাশি করা হয়। এ সময় তাঁর কাছে ৬৮টি সোনার বার পাওয়া যায়। এসব সোনার ব্যাপারে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, তিনি বিমানের ডগ বক্স থেকে বারগুলো সংগ্রহ করেছেন। কিন্তু এগুলোর গন্তব্য সম্পর্কে তিনি সুস্পষ্ট কোনো তথ্য দেননি। উদ্ধার করা স্বর্ণের বাজারমূল্য ৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা।

গ্রেপ্তার বিমানের এয়ারক্রাফট মেকানিক শফিকুল ২০১৩ সালে ক্যাজুয়াল স্টাফ হিসেবে বিমানে যোগ দেন। ২০১৭ সালে তাঁর চাকরি স্থায়ী হয়। তাঁর বাড়ি খুলনার দৌলতপুর থানায়। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে এপিবিএন।