চট্টগ্রাম টেস্টের চতুর্থ দিনে লাঞ্চ বিরতির আগে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১১৫ রান। আগের ইনিংসে ৪৪ রানে এগিয়ে থাকায় স্বাগতিকদের লিড ১৫৯ রানের।

গতকালের ৪ উইকেটে ৩৯ রান নিয়ে আজ দিন শুরু করা টাইগাররা প্রথম ওভারেই মুশফিকুর রহিমকে হারালেও লিডটা বাড়িয়ে চলেছে মমিনুল বাহিনী।

৬ উইকেটে ১১৫ রান নিয়ে লাঞ্চে গেছে বাংলাদেশ দল। লিটন দাস ২৩ ও ইয়াসির আলীর কানকাশন বদলি হিসেবে নামা নুরুল হাসান সোহান শূন্য রানে ব্যাট করছেন।

দিনের প্রথম ওভারেই হাসান আলীর বলে মুশফিকুর রহিমকে (১৬) হারালেও দুর্দান্ত ব্যাট করছিল মমিনুল বাহিনী। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ৪৭ রান তুলেও ফেলেছিল অভিষিক্ত ইয়াসির আলী রাব্বি ও লিটন দাসের জুটি। তবে আউট না হয়েও মাঠ ছাড়তে হয়েছে রাব্বিকে।

দলীয় রান তখন ৫ উইকেটে ৯০, বাংলাদেশ ইনিংসের ৩০তম ওভারের পঞ্চম বলটি শর্ট লেন্থে করেছিলেন পাকিস্তানি পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি। প্রচণ্ড গতির বলটিকে ডাক করে মাথার ওপর দিয়ে চলে যেতে দিয়েছিলেন রাব্বি। কিন্তু বলটি আঘাত হানে রাব্বির হেলমেটে, চোখের কোণের কাছে।

সঙ্গে সঙ্গে দলীয় চিকিৎসক এসে রাব্বিকে শুশ্রূষা দেওয়ার চেষ্টা করেন। এরপর শাহিনের ওভারের শেষ বলটিও মোকাবিলা করেন রাব্বি। পরের ওভারটি করতে আসেন স্পিনার নৌমান আলী।

নৌমানের পুরো ওভারটাও খেলেন ইয়াসির আলী। কিন্তু মাথার যন্ত্রণায় আর টিকতে না পেরে শেষ পর্যন্ত মাঠের বাইরে চলে যেতে বাধ্য হন তিনি। এ সময় তাঁর ব্যক্তিগত সংগ্রহ ছিল ৩৪। রাব্বির মাঠ ছাড়ায় ব্যাট করতে নামেন মেহেদি হাসান মিরাজ। ১১ রান করে বিদায় নেন মিরাজ।

উল্লেখ্য, লিটন দাসের ১১৪ ও মুশফিকের ৯১ রানের সুবাদে প্রথম ইনিংসে ৩৩০ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। এরপর তাইজুল ইসলামের দুর্দান্ত বোলিংয়ে পাকিস্তানকে ২৮৬ রানে অলআউট করে ৪৪ রানের লিড নেয় টাইগাররা। সূত্র: কালের কণ্ঠ