শিবপুর থানা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার পাঁচ ডাকাত

নরসিংদীর শিবপুর থানা-পুলিশ র‍্যাব সেজে ডাকাতি করা তেলের ড্রাম উদ্ধার এবং এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

গত ৯ ফেব্রুয়ারি শিবপুর মডেল থানাধীন ঘাসিরদিয়া ট্রান্সকম ফ্যাক্টরির মূল ফটক সংলগ্ন ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে র‍্যাব পরিচয় দিয়ে একদল ডাকাত ৬০টি প্লাস্টিকের ড্রাম ভর্তি সয়াবিন তেলের ট্রাক ডাকাতি করে।

উদ্ধার করা ড্রাম

ওই ঘটনায় শিবপুর মডেল থানায় একটি মামলা হয়। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে নরসিংদীর পুলিশ সুপারের দিক-নির্দেশনায় নরসিংদী জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল বুধবার (২ মার্চ) রাত ৯টার দিকে শেরপুর জেলার নকলা থানার নকলা বাজারে মেসার্স ওয়ামামা ওয়েল মিলসের মালিক ওয়ালীউল্লাহর (৪৮) মিলঘরের ভেতর ও সামনে থেকে ২৩ ড্রাম (ব্যারেল) সয়াবিন তেল (পাম অয়েল) উদ্ধার করে। তেলের আনুমানিক পরিমাণ ৪৭১৫ লিটার এবং আনুমানিক মুল্য ৬ লাখ ৯০ হাজার টাকা। এ ছাড়া পুলিশ ৩৭টি খালি ড্রাম উদ্ধার করে। এ সময় গ্রেপ্তার করা হয় ওয়ালিউল্লাহকে। পরে তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী চার ডাকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ওয়ালিউল্লাহ জানান, তিনি অপর চার ডাকাত রুবেল রানা (২৮), মো. লিটন (৩৭), বিজয় (২৫) ও মো. আলামিনের (২৭) কাছ থেকে ওই ৬০ ড্রাম তেল গ্রহণ করে তাঁর দোকানে রাখেন। এই চারজন আন্তজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। তাঁরা বিভিন্ন সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তথা র‍্যাব, ডিবি, সিআইডির পোশাক পরে ওয়াকিটকি, সিগন্যাল লাইট ও অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে একটি নোয়া মাইক্রো ব্যবহার করে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, গাজীপুর, টাঙ্গাইলসহ আশপাশের এলাকায় মহাসড়কে তেলের ট্রাক, রডভর্তি ট্রাক, চালভর্তি ট্রাকের গতি রোধ করে ট্রাকের ড্রাইভার হেলপারদেরকে ট্রাক থেকে নামিয়ে মালামাল ডাকাতি করত।

সাংবাদিকদের ডাকাতির ঘটনা বর্ণনা করছেন পুলিশের কর্মকর্তারা

গ্রেপ্তার আসামিদের ৩ দিনের পুলিশ রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। বিভিন্ন থানায় আলামিনের বিরুদ্ধে ৪টি, লিটনের বিরুদ্ধে ১টি ও বিজয়ের বিরুদ্ধে একাধিক ডাকাতির মামলা রয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।