ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। ছবি : সংগৃহীত

জয় তখনো নিশ্চিত হয়নি, স্কোরলাইন ১-১। এদিকে ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজার আগে হলুদ কার্ড দেখলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো।

তবে এতে আক্ষেপ তো ছিলই না, ছিল ঘরের মাঠের দর্শকদের অতি নাটকীয় এক জয় এনে দেওয়ার উচ্ছ্বাস।
নির্ধারিত ৯০ মিনিটের পর অতিরিক্ত যোগ করা সময়ও প্রায় শেষের দিকেই ছিল। তখনো স্কোর সমতায়। ঘরের মাঠে ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়তে হতো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে।
সেই মুহূর্তে উদ্ধারকর্তা হিসেবে হাজির রোনালদো। তাঁর শেষ সময়ের গোলেই পূর্ণ ৩ পয়েন্ট অর্জন করেছে রেড ডেভিলরা। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোরের।

স্থানীয় সময় বুধবার রাতে নিজেদের ঘরের মাঠ ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচে ভিয়ারিয়ালকে ২-১ গোলে হারিয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।

ম্যাচের প্রথম গোলটি করেছিল অতিথিরাই। তবে সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে ওলে গানার সুলশারের শিষ্যরা।

পুরো ম্যাচে প্রায় সমানে সমান লড়েছে দুই দল। গোলের জন্য ইউনাইটেড করেছে ১৪টি শট আর ভিয়ারিয়াল নেয় ১৫টি শট। যার মধ্যে দুই দলেরই সমান ৭টি করে শট ছিল লক্ষ্য বরাবর। কিন্তু গোল বেশি আদায় করে জয়ী দলের নাম ইউনাইটেড।
ম্যাচের প্রথমার্ধে অবশ্য কোনো গোল হয়নি। প্রথম গোলের জন্য অপেক্ষা দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের ৫৩ মিনিট পর্যন্ত। ভিয়ারিয়াকে এগিয়ে দেন স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড পাকো আলকাসের। বাঁ দিক থেকে ডানজুমার ক্রসে আলতো টোকায় গোল করেন আলকাসের।
অবশ্য সাত মিনিটের বেশি টেকেনি ভিয়ারিয়ালের লিড। ম্যাচের ৬০ মিনিটের সময় ব্রুনো ফার্নান্দেসের ক্রস ডি-বক্সের বাইরে পান অ্যালেক্স টেলেস। বাঁ পায়ের জোরালো ভলিতে বল জালে পাঠান ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার, সমতায় ফেরে ইউনাইটেড।
এরপর দুই দলই চেষ্টা করে দ্বিতীয় গোলের। কিন্তু কিছুতেই তা মেলেনি। ম্যাচের একদম শেষ সময়ে গিয়ে অতিরিক্ত যোগ করার সময়ের পঞ্চম মিনিটে জেসে লিনগার্ডের সঙ্গে বল দেওয়া-নেওয়া করে অসাধারণ এক শটে দলকে জয়সূচক গোল এনে দেন রোনালদো।

গোলের পর উদযাপনে জার্সি খোলায় হলুদ কার্ড দেখেন তিনি। চ্যাম্পিয়নস লিগে এটি রোনালদোর ১৩৬তম গোল। এই গোলের সুবাদেই চলতি মৌসুমে প্রথম জয়টি পেল ইউনাইটেড। দুই ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়ে এফ গ্রুপের ৩ নম্বরে রয়েছে তাঁরা। সমান ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আটলান্টা।