ইউক্রেনের ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র রাশিয়া গুলি করে ফেলে দেওয়ার পর সেটির একটি টুকরার আঘাতে একটি অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকের অংশবিশেষ ধসে পড়ে। এতে অন্তত ১৫ জন নিহত ও ২০ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন রুশ কর্মকর্তারা।

রোববার রাশিয়ার বেলগোরোদ অঞ্চলে ঘটনাটি ঘটেছে। ইউক্রেনের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রটি সোভিয়েত আমলের বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

এটি সীমান্তের নিকটবর্তী বেলগোরোদ অঞ্চলে ইউক্রেনের চালানো অন্যতম প্রাণঘাতী হামলা।

রাশিয়ার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইউক্রেন এদিন ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।

ঘটনাস্থল থেকে আসা ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, ওই ভবনের অন্তত ১০টি তলা ধসে পড়ছে। পরে জরুরি বিভাগের কর্মীরা যখন জীবিতদের খোঁজে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে তল্লাশি চালাচ্ছিলেন, তখন ভবনের ছাদটি ধসে পড়ে, লোকজনকে প্রাণ বাঁচাতে ছুটে সরে যেতে দেখা যায় আর তাদের পেছনে কংক্রিটের ভাঙা টুকরা পড়তে থাকে।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ০৮৪০ জিএমটিতে অন্তত ১২টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে হামলাটি চালানো হয়। এটিকে ‘আবাসিক এলাকায় চালানো সন্ত্রাসী হামলা’ বলে অভিহিত করেছে তারা।

“ধ্বংস করে দেওয়া একটি তোচকা-ইউ ক্ষেপণাস্ত্রের টুকরাগুলোর আঘাতে বেলগোরোদ শহরের একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে,” বলেছে মন্ত্রণালয়টি।

সোমবার ভোররাতে রাশিয়ার জরুরি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ ঘটনায় ১৫ জন নিহত হয়েছেন।

রাশিয়ার বার্তা সংস্থাগুলো জানিয়েছে, ২০ জন আহত হয়েছে এবং একটি শিশুসহ বেশ কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছেন।

জরুরি বিভাগের কর্মীরা যখন ধ্বংসস্তূপের মধ্যে তল্লাশি চালাচ্ছিলেন, তখনো রকেট হামলার সাইরেন বাজছিল।

ইউক্রেন ও রাশিয়া, উভয়ের দাবি করে আসছে, তারা বেসামরিকদের লক্ষ্যস্থল করে না।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া প্রতিবেশী ইউক্রেনে আক্রমণ শুরু করে। তারপর থেকে দুই বছরের বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধে হাজার হাজার মানুষ নিহত, লাখ লাখ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এ যুদ্ধ ইউক্রেনের শহরগুলোকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। সূত্র: বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম