রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকায় অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিটের অভিযানে গ্রেপ্তার জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ বাংলাদেশের সদস্য। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

রাজধানীতে পুলিশের অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিট (এটিইউ) অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ বাংলাদেশের (হুজি-বি) এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকায় ১১ মার্চ (শুক্রবার) সকালে অভিযানটি পরিচালিত হয়। গ্রেপ্তারকৃত ওই জঙ্গি একটি মামলায় ১০ বছর ৬ মাসের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি।

গ্রেপ্তারকৃত ওই জঙ্গির নাম শরিফুজ্জামান ওরফে মিন্টু ওরফে ওবায়দুল্লাহ ওরফে মাহি ওরফে শরিফ (৩৫)। তাঁর বাড়ি রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানা এলাকায়।

এটিইউর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসলাম খান (মিডিয়া অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিটের (এটিইউ) একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ১১ মার্চ সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ডিএমপির উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হুজি-বির সংগঠক, বিস্ফোরক দ্রব্য আইন-১৯০৮-এর ৪ ধারার মামলায় ১০ বছর ৬ মাস কারাদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামী শরিফুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, তুরাগ ধানার আশুলিয়া বাইপাইল রোডে অভিযান চালিয়ে ২০১৩ সালের ৭ অক্টোবর হুজি-বির সংগঠক খলিলুর রহমান শাহরিয়ার (৩২), মো. আ. কাদের মুয়াক্ষের (৫০), শরিফুজ্জামান (২৭) ও মো. মাকছুদুর রহমানকে (২৭) গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের কাছ থেকে সে সময় বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গুলি ও বিস্ফোরক জব্দ করা হয়। এসব অস্ত্রের মধ্যে ছিল একটি ম্যাগজিনসহ পিস্তল, পিস্তলের ৩২টি গুলি, এসএমজির ১ হাজার ১৩৫টি গুলি, দেড় কেজি ওজনের দুটি উচ্চ বিস্ফোরক, ১১০ ফুট কর্ডেক্স, ৫টি ডিটোনেটর, একটি ব্লাস্টিং মেশিন ও আটটি ককটেল। ওই আসামিদের মধ্যে খলিলুর রহমান শাহরিয়ার হুজি-বির পলাতক কেন্দ্রীয় নেতা ও হুজি-বির পরিবর্তিত সংগঠন তামিরুত-আত-দ্বীনের প্রধান সংগঠক ছিলেন। এটিইউর হাতে গ্রেপ্তার আসামি শরিফুজ্জামান হুজি-বির পরিবর্তিত সংগঠনে অর্থ সম্পাদক হিসেবে কাজ করতেন। জব্দকৃত অস্ত্র ও গোলাবারুদ তাঁরা দেশের বিভিন্ন স্থানে সংগঠনের মধ্যে বিতরণ ও ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ পরিচালনার জন্য এনেছিলো। তুরাগ থানায় ওই ঘটনায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইন ও অস্ত্র আইনে মামলা হয়।

পরে শরিফুজ্জামান আদালত থেকে জামিনে বের হয়ে আত্মগোপন করেন। এরপর দীর্ঘদিন রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকায় স্ত্রী ও দুই সন্তানসহ বসবাস করে আসছিলেন তিনি। তিনি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ সম্পন্ন করেন এবং ফ্রি-ল্যান্সিং করে জীবিকা নির্বাহ করছিলেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।