প্রতীকী ছবি

জাল কাগজপত্র তৈরি করে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানোর নামে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাৎকারী চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ডিবি সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (উত্তর) বিভাগ।

ডিবি সাইবারের ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিমের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার মহিদুল ইসলাম পিপিএম জানান, গত ৩ থেকে ৮ এপ্রিল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে রাজধানী ও আশপাশের এলাকা থেকে আসামি আবুল কাশেম শেখ, বখতিয়ার হোসেন ও মো. নজরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে পাঁচটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, একটি কম্পিউটার ও ৩১টি পাসপোর্ট জব্দ করা হয়। এ ছাড়া প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ১৩টি ইমেইল অ্যাকাউন্ট ও একটি ওয়েবসাইট চিহ্নিত করা হয়।

তিনি জানান, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগদানের কথা বলে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের ভুয়া তথ্যযুক্ত ইমেইল পাঠিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা সংগ্রহের আবেদন করা হচ্ছে, মার্কিন দূতাবাসের এমন অভিযোগের ভিত্তিতে গুলশান থানায় মামলা হয়। এ ঘটনায় ডিবির সাইবার বিভাগের সোশ্যাল মিডিয়া মনিটরিং টিম প্রতারক চক্রের চারজনকে গ্রেপ্তার করে। পরবর্তী সময়ে তদন্তের দায়িত্ব পায় ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম। এরপর অপর তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার মহিদুল ইসলাম বলেন, আসামি আবুল কাশেম শেখ একটি আন্তর্জাতিক মানবপাচার ও প্রতারক চক্রের হোতা। তিনি কথক একাডেমি নামের একটি এনজিওর আড়ালে ১০-১২ লাখ টাকার বিনিময়ে ২০১২ সাল থেকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, জাপান, ইতালি, দুবাই, ফ্রান্সসহ উন্নত দেশগুলোতে মানবপাচার করে আসছেন। প্রতারক আবুল কাশেম তাঁর এনজিওর উপদেষ্টা হিসেবে অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব সুলতান মাহমুদের পরিচয় ও স্বাক্ষর জাল করে ঢাকার মার্কিন দূতাবাসে চিঠি পাঠিয়ে ভিসার জন্য আবেদন করতেন। আসামি কাশেমের নামে একাধিক মামলা রয়েছে।

প্রতারণা এড়াতে পরামর্শ :

১। পাসপোর্টে জাল ভিসা কিংবা জাল সিল ব্যবহার করা বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে অপরাধ। এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে।

২। বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করা মার্কিন ভিসা পাওয়ার নিশ্চয়তা দেয় না।

৩। মার্কিন ভিসা পেতে সব সময় সঠিক তথ্য উপস্থাপন করতে হবে। তথ্য মিথ্যা প্রমাণিত হলে, তা গুরুতর অযোগ্যতা বলে বিবেচিত হবে।

৪। এ ধরনের প্রতারণার শিকার হলে দ্রুত পুলিশকে অবহিত করুন।