ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি), বাংলাদেশ চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বিপিএম (বার), পিপিএম বলেছেন, ঈদে সড়ক, নৌ ও রেলপথে ঘরমুখী মানুষের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করার লক্ষ্যে যাত্রীদের নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক এবং ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আইজিপি বলেন, ঈদের ছুটিতে বিভিন্ন ট্যুরিস্ট স্পটে জনসমাগম হয়। তাদের নিরাপত্তার কথাও বিবেচনায় রেখে আমরা আমাদের নিরাপত্তা পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছি।
তিনি বলেন, ঢাকা মহানগর পুলিশ, জেলা পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ, নৌ পুলিশ, রেলওয়ে পুলিশ, র্যাবসহ বাংলাদেশ পুলিশের সব ইউনিট একযোগে দায়িত্ব পালন করছে। আমাদের স্পেশালাইজড ইউনিট, সোয়াট, সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট, ডগ স্কোয়াড, বোম ডিজপোজাল ইউনিট, এটিইউ যাত্রীদের নিরাপত্তায় কাজ করছে।
আইজিপি বলেন, ঢাকা শহরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে কন্ট্রোল রুম, সাব কন্ট্রোল রুম স্থাপন করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা মনিটরিং করা হচ্ছে, যাতে যাত্রীরা নিরাপদে নিজ নিজ গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেন।
পুলিশপ্রধান বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রচেষ্টায় পদ্মা সেতু হয়েছে। সড়কের অবস্থাও আগের চেয়ে অনেক উন্নত হয়েছে। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে সরকারি ছুটি বাড়ানো হয়েছে।
তিনি বলেন, বিভিন্ন বাস কাউন্টারে কথা বলে জানা গেছে, এখনো যাত্রীদের চাপ তেমন বাড়েনি। আস্তে আস্তে যাত্রীদের চাপ বাড়বে।
ঈদের জামাতস্থলের প্রসঙ্গে আইজিপি বলেন, আমরা ঈদ জামাতস্থলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।
তিনি যাত্রীদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, যাত্রাপথে সহযাত্রীদের দেওয়া কোনো খাবার বা পানীয় গ্রহণ থেকে বিরত থাকবেন। কারণ, এতে অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টির খপ্পরে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আইজিপি বলেন, ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তিনি সতর্কভাবে গাড়ি চালানোর জন্য চালকদের প্রতি অনুরোধ জানান।
বিভিন্ন মার্কেটে অগ্নিকাণ্ড সম্পর্কিত প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, অগ্নিকাণ্ডের প্রতিটি ঘটনা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। নাশকতার কোনো প্রমাণ পাওয়া গেলে দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পরে আইজিপি সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল পরিদর্শন করেন। তিনি যাত্রী, লঞ্চের মালিক, চালক ও শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
এ সময় নৌ পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি মো. শফিকুল ইসলাম এবং অন্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সবশেষে আইজিপি রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পরিদর্শন করে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে খোঁজখবর নেন।
এ সময় অতিরিক্ত আইজিপি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মো. আতিকুল ইসলাম, রেলওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি মো. দিদার আহম্মেদ, রেলওয়ে পুলিশ ও বাংলাদেশ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
