যশোর জেলা পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল জনগণের সেবায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় গত মার্চ মাসে ৩৪টি হারানো মুঠোফোন উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকদের বুঝিয়ে দিয়েছে এই সেল। ভুলবশত অন্য নম্বরে চলে যাওয়া বিকাশ/নগদের ৭ ভুক্তভোগীর অর্থ ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে এই সেল।

গ্রেপ্তার পাঁচজন হলেন নুর মোহাম্মদ (৩৫), রিপন কুমার বিশ্বাস (৩২), মো. আল আমিন (২৮), আজগার আলী (৪২) ও নাসিম আল সবুজ (২২)।

জেলা পুলিশ জানায়, মার্চ মাসে বিভিন্ন থানায় হওয়া সাধারণ ডায়েরির (জিডি) পরিপ্রেক্ষিতে সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল ওই মুঠোফোনগুলো উদ্ধার করেছে। এ ছাড়া বিকাশ ও নগদের সাত ভুক্তভোগী ব্যবহারকারীর অর্থ ভুল করে অন্য নম্বরে চলে যাওয়ার অভিযোগও সুরাহা করা হয়েছে। তাদের মোট ৮৯ হাজার ৪৬০ টাকা উদ্ধার করে দেওয়া হয়েছে।

জেলা পুলিশ আরও জানায়, গত মার্চে ১৬টি হ্যাকড ফেসবুক আইডি পুনরুদ্ধার করেছে সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল। নিখোঁজ তিন ভুক্তভোগীকে উদ্ধারে সহায়তা করেছে এই সেল। পিপিসি গ্যালারি অ্যাপ ব্যবহার করে প্রতারণার মাধ্যমে যশোরের অভয়নগর থানা এলাকার ২৫ জন ভুক্তভোগীর কাছ থেকে ৭২ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছিল প্রতারক চক্র। এ ঘটনায় অভয়নগর থানায় মামলা হয়। এ মামলায় নুর মোহাম্মদ, রিপন, আল আমিন, আজগার ও নাসিমকে গ্রেপ্তার করেছে সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল। তাঁদের কাছ থেকে সাতটি মুঠোফোন জব্দ করে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য সাইবার ফরেনসিকে পাঠানো হয়েছে। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন আছে।