ডিবির হেফাজতে গ্রেপ্তার ১০ ডাকাত। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ।

যশোর জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পুলিশ অভিযান চালিয়ে একাধিক ডাকাতির ঘটনায় জড়িত একটি চক্রের ১০ সদস্যকে লুন্ঠিত মালপত্রসহ গ্রেপ্তার করেছে।

জেলা পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদারের দিকনির্দেশনায় ডিবির ওসি রুপন কুমার সরকারের তত্ত্বাবধানে যশোর জেলার আইনশৃঙ্খলা উন্নয়ন, চুরি/ডাকাতি রোধে জেলা গোয়েন্দা শাখার টিম প্রতিনিয়ত অভিযান পরিচালনা করছে। তারই ধারাবাহিকতায় বাঘারপাড়া, যশোর কোতোয়ালি, অভয়নগর, মনিরামপুর এলাকায় একাধিক ডাকাতি সংঘটনের ঘটনায় মাঠে নামে ডিবির একাধিক টিম।

গত ১৮ অক্টোবর বাঘারপাড়ার করিমপুরে জনৈক আরাফাতের বাড়িতে সংঘটিত ডাকাতির ঘটনার সূত্র ধরে ডিবির পুলিশ পরিদর্শক শহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি চৌকস টিম ২৯ নভেম্বর সকাল থেকে ৩০ নভেম্বর ভোর পযন্ত কাশিয়ানী, নড়াইল, কালিয়া, তেরখাদা থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ডাকাত চক্রের ১০ সদস্যকে আটক করে। এ সময় তাঁদের হেফাজত থেকে লুন্ঠন করা ৪ ভরি ১১ আনা স্বর্ণালংকার, ১টি মোবাইল ফোন, ২২ হাজার টাকাসহ ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল, মাস্টার চাবি, গাছি দা, দা, রড ও খেলনা পিস্তল জব্দ করা হয়।

ডাকাতদের কাছ থেকে উদ্ধার করা মালপত্র। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বাঘারপাড়া ও কোতোয়ালি থানাধীন তপস্বীডাঙ্গায় সংঘটিত ডাকাতির ঘটনায় গ্রেপ্তার ডাকাতদের জড়িত থাকার বিষয়ে তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গেছে।

গ্রেপ্তার আসামিদের বিরুদ্ধে একাধিক খুনসহ ডাকাতি ও চুরির মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে।

জিজ্ঞাসাবাদে ডাকাতেরা জানান, যশোরে থাকা নিজেদের সদস্যদের মাধ্যমে বাড়ি টার্গেট করে তাঁরা একত্র হয়ে ডাকাতি করেন।

গ্রেপ্তার ডাকাতরা হলেন আরজ আলী (৪৫), তারিকুল ইসলাম (৩২), নাদিম মাহমুদ (২৭), ওহিদ মোল্লা (৪০), রুবেল সরদার (৩৪),
সবুজ কাজী (৩৬), বোরহান সরদার (৩৫), শাহ আলী ওরফে বাবু (৩৮), আফরোজা (৩২) ও সুনাম বিশ্বাস (৩২)।