ব্যক্তিশ্রেণির আয়কর বিবরণী বা রিটার্ন জমার সময় এক মাস বাড়ল। বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ ও সংগঠনগুলোর অনুরোধে গত দুই বছরের মতো এবারও সময় বাড়িয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। অর্থাৎ আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আয়কর রিটার্ন জমা দিতে পারবেন করদাতারা। খবর প্রথম আলোর।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) জনসংযোগ পরিচালক সৈয়দ এম এ মুমেন আজ বুধবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বর্তমান আয়কর অধ্যাদেশ অনুযায়ী, প্রতিবছর ৩০ নভেম্বরের মধ্যে রিটার্ন জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। তবে বিশেষ পরিস্থিতির কারণে এনবিআর নিজস্ব ক্ষমতাবলে এক মাস সময় বাড়িয়েছে। আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪–এর ধারা ১৮৪ জি–তে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে জনস্বার্থে এই আদেশ জারি করা হয়েছে বলে চিঠিতে জানিয়েছে এনবিআর।

ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের বার্ষিক আয়কর বিবরণী জমা বা রিটার্ন জমা দেওয়ার সময় আজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গত কয়েক দিন দেশের বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও পেশাজীবী সংগঠন সময় বাড়ানোর অনুরোধ জানায়। গতকাল মঙ্গলবার দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার সময় আরও এক মাস বাড়ানোর অনুরোধ করে। ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত রিটার্ন জমার সময় বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানকে চিঠি দেয় তারা।

এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, করোনার দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ও চলমান বিশ্ব অর্থনৈতিক সংকটময় পরিস্থিতিতে শিল্পোৎপাদন, ব্যবসা-বাণিজ্য ও সেবা খাত বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। আর্থিক খাতে বিরাজমান পরিস্থিতির কারণে সময়মতো রিটার্ন দাখিল করা অনেকের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। তাই রিটার্ন জমার সময় এক মাস বাড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করে এফবিসিসিআই।

এর আগে বিভিন্ন চেম্বার, সমিতি ও আয়কর আইনজীবীরা সময় বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়ে এনবিআরে চিঠি দেয়।

জানা গেছে, অন্যবারের তুলনায় রিটার্ন জমার পরিমাণ এবার কম। এনবিআরের সর্বশেষ হিসাব অনুসারে, গত সপ্তাহ পর্যন্ত ৯ লাখ রিটার্ন জমা পড়েছে।