পুলিশি হেফাজতে গ্রেপ্তার আসামিরা, উদ্ধার করা স্বর্ণ এবং ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জাম। ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ

যশোর জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) একটি দল অভিযান চালিয়ে ছিনতাই হওয়া ৫২ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার করেছে। এ সময় ছিনতাইয়ে জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

রোববার (২৯ জানুয়ারি) ও গত শনিবার (২৮ জানুয়ারি) যশোরের কোতোয়ালি মডেল থানা এলাকা থেকে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়।

তাঁরা হলেন যশোরের কোতোয়ালি থানা এলাকার শাহরিয়ার আলম খান (৪৬), বাবু দত্ত (৪৩), নিশিত কুমার সরকার (৪৮) ও কার্তিক চন্দ্র চন্দ (৬৩) এবং সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ থানা এলাকার সাইফুল ইসলাম নয়ন (৪২)।

আসামিদের কাছ থেকে ৫২ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার এবং একটি রাইফেল, দুটি ম্যাগাজিন, ১ হাজার ৫০০টি গুলি, গুলির ২৮টি খোসা, একটি মোবাইল ফোন, একটি কিট বক্স, অস্ত্রের লাইসেন্স ও একটি মাইক্রোবাস জব্দ করা হয়। ছিনতাই করা স্বর্ণ বিক্রির টাকা দিয়ে আসামি শাহরিয়ার মাইক্রোবাসটি কেনেন বলে জানায় পুলিশ।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা যশোর ডিবির উপপরিদর্শক (এসআই) মো. নুর ইসলাম জানান, পাটকেলঘাটা বাজারে ভুক্তভোগীর একটি স্বর্ণের দোকান আছে। যশোরের স্বর্ণ ব্যবসায়ী সঞ্জয় ঘোষের (৩৪) কাছ থেকে স্বর্ণ কিনে থাকেন তিনি। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৯ ডিসেম্বর স্বর্ণ কিনতে ছেলে গোপিকে সঞ্জয়ের কাছে পাঠান। সকালের দিকে ৫০ ভরি স্বর্ণের বার এবং ২৪ ভরি স্বর্ণালংকারসহ সঞ্জয়ের বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে চড়ে রওনা দেন গোপি। কোতোয়ালি মডেল থানাধীন যশোর-মনিরামপুর সড়কের সুতিঘাটা শ্মশানঘাট এলাকায় পৌঁছামাত্রই একটি প্রাইভেট কার গোপির মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। পরে একদল দুর্বৃত্ত তাঁকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্বর্ণ ছিনতাই করে। এরপর গোপিকে রাস্তার পাশে ফেলে স্বর্ণ নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় গত ২৫ জানুয়ারি কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন গোপির বাবা।

তিনি আরও জানান, মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় ডিবি। তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় অবস্থান শনাক্ত করে গত শনিবার ও রোববার অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাঁদের কছে থেকে ৫২ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার এবং ছিনতাইয়ের কাছে ব্যবহৃত সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।