কমিউনিটি পুলিশিং ডে-২০২৩ উপলক্ষে বের করা বর্ণাঢ্য র‍্যালি। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ।

বাংলাদেশ পুলিশের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অং হিসেবে যশোর জেলা পুলিশ ও জেলা কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের সার্বিক আয়োজনে আজ ৪ নভেম্বর কমিউনিটি পুলিশিং ডে-২০২৩ উদযাপন করা হয়।

পুলিশ লাইনসে জেলার সর্বস্তরের মানুষের উপস্থিতিতে এ দিনটি উদযাপন করা হয়।

এবারের কমিউনিটি পুলিশিং ডে-র স্লোগান হলো “পুলিশ -জনতা ঐক্য করি, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলি”

কর্মসূচির শুরুতেই উপস্থিত সকলকে নিয়ে পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‍্যালি বের হয়ে পুলিশ লাইনসে গিয়ে শেষ হয় এবং পরে পুলিশ লাইনসে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করা হয় ও গীতা পাঠ করা হয়।

এরপর অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য দেন জুয়েল ইমরান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, “ক” সার্কেল, যশোর।

তিনি বলেন, এবারের দিবসটির প্রতিপাদ্য হলো “পুলিশ-জনতা ঐক্য করি, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলি”। আমরা সকলে এই স্লোগান মনে-প্রাণে ধারণ করব। তিনি আরও বলেন, সমাজ থেকে মাদক ও অপরাধমূলক কার্যক্রম দূর করতে কমিউনিটি পুলিশিংয়ের বিকল্প নেই।

অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য দেন অনুষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি যশোর জেলা কমিউনিটি পুলিশিং সমন্বয় কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন, পিপিএম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্), যশোর।

তিনি বলেন, আমাদের জেলা পুলিশ যশোরের পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার, বিপিএম (বার), পিপিএম মহোদয়ের দিক-নির্দেশনা মোতাবেক আজকের এই অনুষ্ঠানের আয়োজন।

তিনি আরও বলেন, আমাদের সম্মানিত পুলিশ সুপার মহোদয়ের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে জেলা পুলিশ দিন-রাত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সমাজ থেকে অপরাধমূলক কার্যক্রম দূর করতে কমিউনিটি পুলিশিং ফোরাম তথা আপনাদের ভূমিকা অপরিসীম।

আপনাদের তথ্য ও সচেতনতায় আমাদের কাজকে আরও বেশি সাফল্যমণ্ডিত ও বেগবান করে। তিনি বলেন, একটি দেশের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নের পিছনে অবশ্যই সে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নির্ভর করে। সুতরাং দেশের উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে জেলা পুলিশ যশোর তথা বাংলাদেশ পুলিশ সর্বদা বদ্ধপরিকর।

তিনি কঠোরভাবে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, এখানে দেশের চলমান উন্নয়নের ধারাকে যদি কেউ বিনষ্ট করতে চায়, যদি কেউ আগুন-সন্ত্রাস বা নাশকতা সৃষ্টির চেষ্টা করে, যদি কেউ জনগণের জান ও মালের নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ হয়, তবে তাদের বিরুদ্ধে জেলা পুলিশ যশোর কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

পরিশেষে তিনি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী সকলের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন নূর-ই-আলম সিদ্দিকী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার যশোর, ফোরামের সদস্য সচিব জে. এম ইকবাল হোসেন, অধ্যক্ষ ডা. আব্দুর রাজ্জাক, মিউনিসিপ্যাল কলেজ, যশোর, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. হারুন অর রশিদ, সভাপতি, কোতোয়ালি মডেল, থানা কমিউনিটি ফোরাম, অধ্যক্ষ কাজী মাহমুদুল হাসান, সভাপতি, মনিরামপুর থানা, কমিউনিটি ফোরাম, অধ্যাপক মর্জিনা আক্তার, অধ্যক্ষ সরকারি এমএম কলেজ, যশোর।

এ বছর শ্রেষ্ঠ কমিউনিটি পুলিশিং সদস্য হয়েছেন অধ্যক্ষ কাজী মাহমুদুল হাসান, সভাপতি, মনিরামপুর থানা কমিউনিটি ফোরাম এবং শ্রেষ্ঠ কমিউনিটি পুলিশিং অফিসার হয়েছেন পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. মকবুল হোসেন, বাঘারপাড়া থানা, যশোর।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন মো. জাহিদুল ইসলাম সোহাগ, পিপিএম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, যশোর, মো ফিরোজ কবির, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ডিএসবি, যশোর, কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সদস্যবৃন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সামাজিক গোষ্ঠীর সদস্যবৃন্দ, সাংবাদিকবৃন্দসহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, অফিসার ও ফোর্সবৃন্দ।