যশোরে গ্রেপ্তার হওয়া প্রতারক চক্রের চার সদস্য। ছবি: যশোর জেলা পুলিশ

ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার পলাশ মিয়া নামের এক ব্যক্তি গত শুক্রবার যশোর জেলা গোয়েন্দা শাখায় এসে জানান, মাছুরা নামের একজন প্রতারক নারী ধর্ম-আত্মীয় সেজে তাঁর বাড়িতে এসে প্রতারণার মাধ্যমে সম্পদ দ্বিগুণ করার লোভ দেখিয় সাত ভরি স্বর্ণালংকার ও ৫ লাখ ২০ হাজার টাকা চুরি করে পালিয়েছে। ওই নারী অভয়নগর থানা এলাকায় অবস্থান করছে।

বিষয়টি ডিবির অফিসার ইনচার্জ রুপন কুমার সরকার, পিপিএম আমলে নিয়ে এসআই মফিজুল ইসলাম, পিপিএমের ওপর তদন্তভার অর্পণ করেন। পুলিশ পরিদর্শক শেখ শাহীনুর রহমানের নেতৃত্বে এসআই মফিজুল ইসলাম, পিপিএম ও সঙ্গীয় ডিবির চৌকস দল গোপন ও প্রকাশ্যে তদন্তে প্রতারক মাছুরার অবস্থান শনাক্ত করে রোববার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে অভয়নগর থানাধীন মহাকাল গ্রামে অভিযান চালিয়ে মাছুরা ও তাঁর স্বামী শাহিনুর শেখকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তাঁদের হেফাজত থেকে চুরি করা টাকা দিয়ে কেনা একটি ইজিবাইক ও মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। এরপর তাঁদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভয়নগর নওয়াপাড়া বাজারের সোনাপট্টিতে অভিযান চালিয়ে ‌’রূপশ্রী জুয়েলার্স’ নামের একটি দোকানমালিক উত্তম কর্মকারকে আটক করে তাঁর হেফাজত থেকে ১ ভরি ১ আনা ৫ রতি সোনা ও সোনা বিক্রির ১ লাখ ৯৮ হাজার টাকা জব্দ করা হয়। পরে তাঁদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মহাকাল সাকিনে আমেনা খাতুন নামের এক নারীকে আটক করে তাঁর কাছ থেকে একটি সোনার চেইন জব্দ করা হয়।

এ ঘটনায় পলাশ বাদী হয়ে অভয়নগর থানায় মামলা করেছেন।