মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ছবি : বাসস

মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, মৎস্য খাতে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে উন্মুক্ত জলাশয়ের টেকসই সংরক্ষণ ও বিজ্ঞানভিত্তিক ব্যবস্থাপনা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে হবে। পরিবেশ ও প্রতিবেশের উন্নয়নসহ জলজ-দূষণ রোধকল্পে কার্যকর ও সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে।

‘জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২৩’ উপলক্ষে সোমবার (২৪ জুলাই) দেওয়া এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন। খবর বাসসের।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ‘জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২৩’ পালনের উদ্যোগ নেওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন মহামান্য রাষ্ট্রপতি। এ উপলক্ষে দেশের সব মৎস্যচাষি, মৎস্যজীবী, মৎস্য ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তাসহ সংশ্লিষ্টদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান তিনি।

মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, মাছ বাঙালির দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় অন্যতম অনুষঙ্গ। বাঙালির কৃষ্টি ও সংস্কৃতির সঙ্গেও ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে মাছ। খাদ্যের চাহিদা পূরণ, নিরাপদ প্রাণিজ আমিষের জোগান, সুস্থ ও মেধাবী মানবসম্পদ উন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের মাধ্যমে মৎস্য খাত জাতীয় উন্নয়নে অবদান রেখে চলেছে।

মহামান্য রাষ্ট্রপতি বলেন, সরকার মৎস্য খাতের গুরুত্ব ও সম্ভাবনা বিবেচনায় নিয়ে এ খাতের উন্নয়নে নানাবিধ আইন, বিধি ও নীতিমালা প্রণয়ন এবং সময়োপযোগী উন্নয়ন প্রকল্প ও কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছে। ফলে দেশ এখন মৎস্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ।

তিনি বলেন, সমুদ্র বিজয়ের মাধ্যমে অর্জিত বিশাল সামুদ্রিক অঞ্চলে মৎস্যের নিয়মিত মজুত নিরূপণ, যথাযথ সংরক্ষণ ও বিজ্ঞানভিত্তিক ব্যবস্থাপনা প্রবর্তনের মাধ্যমে সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদের টেকসই উন্নয়নে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় আরও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে, এটাই সবার প্রত্যাশা।

মো. সাহাবুদ্দিন উল্লেখ করেন, এবারের জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের প্রতিপাদ্য ‘নিরাপদ মাছে ভরব দেশ, গড়ব স্মার্ট বাংলাদেশ’ অর্থবহ ও তাৎপর্যপূর্ণ হয়েছে।

তিনি জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২৩ উপলক্ষে নেওয়া সব কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।