মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি : বাসস

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে সরকার গত সাড়ে ১৪ বছরে মৎস্য খাতে উল্লেখযোগ্য সফলতা অর্জন করেছে। ফলে মৎস্য উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ।

‘জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২৩’ উপলক্ষে সোমবার (২৪ জুলাই) দেওয়া এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন। খবর বাসসের।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সরকারের গৃহীত পরিকল্পনা ও উন্নয়ন প্রকল্পের সফল বাস্তবায়নের ফলে ২০২১-২২ অর্থবছরে মৎস্য উৎপাদন হয়েছে ৪৭.৪৯ লাখ টন; যা ২০০৫-০৬ সালের মোট উৎপাদনের দ্বিগুণের বেশি। আমাদের অভ্যন্তরীণ মৎস্য সম্পদের পাশাপাশি সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ একটি অপার সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। আমরা সমুদ্র বিজয়ের মাধ্যমে সূচিত সুনীল অর্থনীতির বিকাশ এবং আমাদের সামুদ্রিক জলসীমায় মৎস্য সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে সামুদ্রিক মৎস্য আহরণ নীতিমালা, ২০২২ ও সামুদ্রিক মৎস্য বিধিমালা, ২০২৩ প্রণয়ন করেছি।’

তিনি বলেন, প্রতিবছরের মতো এবারও জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২৩ উদযাপন করা হচ্ছে জেনে তিনি আনন্দিত। এ উপলক্ষে তিনি দেশের সব মৎস্যজীবী, মৎস্যচাষি ও সংশ্লিষ্টদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘নিরাপদ মাছে ভরব দেশ, গড়ব স্মার্ট বাংলাদেশ’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, দেশীয় সাফল্যের পাশাপাশি মৎস্য উৎপাদনে বাংলাদেশের সাফল্য আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও স্বীকৃত। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী বিশ্বে অভ্যন্তরীণ মুক্ত জলাশয়ে মৎস্য আহরণে বাংলাদেশ তৃতীয়। বদ্ধ জলাশয়ে মৎস্য উৎপাদনে বাংলাদেশ পঞ্চম; সামুদ্রিক ও উপকূলীয় ক্রাস্টসিয়া উৎপাদনে অষ্টম এবং ফিনফিস উৎপাদনে ১১তম স্থানে রয়েছে। ইলিশ আহরণে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে প্রথম এবং তেলাপিয়া উৎপাদনে বিশ্বে চতুর্থ ও এশিয়ায় তৃতীয়।

বাংলাদেশের ইলিশ ও বাগদা চিংড়ি জিআই পণ্য হিসেবে এরই মধ্যে স্বীকৃতি পেয়েছে, যা আমাদের জন্য গর্বের উল্লেখ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের মৎস্য ও মৎস্যজাত পণ্য আজ ৫২টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে। বিশ্ববাজারে আর্থিক মন্দাবস্থা থাকা সত্ত্বেও ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৬৯ হাজার ৮৮১ টন মৎস্য ও মৎস্যজাত পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে আয় হয়েছে ৪ হাজার ৭৯০ কোটি টাকা।

তিনি ‘জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ’ উপলক্ষে আয়োজিত সব কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।