আইপিএলে উইকেটশিকারির তালিকায় শীর্ষে উঠেছেন মোস্তাফিজুর রহমান। ছবি : সংগৃহীত

আইপিএলে এক ম্যাচ পর ফিরেই আবার সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির তালিকায় শীর্ষে উঠেছেন মোস্তাফিজুর রহমান। কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে শেষ ওভারে দারুণ বোলিংয়ে ২ উইকেট তুলে নেন এই পেসার। কলকাতা নাইট রাইডার্স থামে ১৩৭ নামে। চেন্নাই সুপার কিংস ৭ উইকেটে সেই ম্যাচ জিতে নিয়েছে।

গতকাল সোমবার চেন্নাইয়ের এমএ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে এক ম্যাচ পর একাদশে ফেরেন মোস্তাফিজ। শেষ ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে মোস্তাফিজ খেলতে পারেননি। দেশে ফিরে এসেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা প্রক্রিয়ার কাজে। দলে ফিরে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে বল হাতে ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে ২ উইকেট পেয়েছেন।

মোস্তাফিজের দ্যুতি ছড়ানো ম্যাচে জয় পেয়েছে চেন্নাইও। আগে ব্যাটিং করতে নেমে কলকাতা মাত্র ১৩৭ রান জমা করতে পারে। জবাবে চেন্নাইয়ের অধিনায়ক রিতুরাজ গায়কোয়াড়ের অপরাজিত ফিফটিতে ৭ উইকেটে জয় তুলে নেয়।

মোস্তাফিজ দুর্দান্ত বোলিং করলেও চেন্নাইয়ের জয়ের নায়ক রবীন্দ্রর জাদেজা। বাঁহাতি স্পিনার ১৮ রানে ৩ উইকেটের সঙ্গে ২টি ক্যাচ নেন।

ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে বল হাতে পান মোস্তাফিজ। প্রথম দুটি বলে আসে এক রান করে। তৃতীয় বলে ছিল ডট। চতুর্থ বল বেরিয়ে এসে চার মারেন রাঘুবানশি। শেষ দুই বলে ডানহাতি ব্যাটসম্যানকে স্লোয়ারে বিভ্রান্ত করেন মোস্তাফিজ।

এরপর পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে বোলিংয়ে ফিরে প্রথম বলে ওই রাঘুবানশি চার হাঁকান পয়েন্ট দিয়ে। এরপর আবার নিয়ন্ত্রিত মোস্তাফিজের বল। পাওয়ার প্লেতে ২ ওভারে ১২ রান দিয়ে কোনো উইকেট পাননি।

১৮তম ওভারে বাংলাদেশি তারকা পেসার যখন বোলিংয়ে ফেরেন, তখন কলকাতার রান ৬ উইকেটে ১১৩। ওই সময়ে ক্রিজে ছিলেন ক্যারিবিয়ান হার্ডহিটার আন্দ্রে রাসেল। কিন্তু তাঁকেও আটকে রাখেন তিনি। প্রথম দুই বল ডট। এরপর নো বলে চার হজম করলেও ফ্রিহিটে কোনো রান দেননি। চতুর্থ বলও ডট। পঞ্চম বলে উইকেট পেতে পারতেন। কিন্তু উইকেটের পেছনে বল গ্লাভসে জমাতে পারেননি মাহেন্দ্র সিং ধোনি। ডেথ ওভারে প্রথম পরীক্ষায় পাস করা মোস্তাফিজ খরচ করেন ৯ রান।

শেষ ওভারে প্রথম বলেই কলকাতার অধিনায়ক ও সর্বোচ্চ স্কোরার শ্রেয়াস আইয়ারকে (৩৪) ফিরিয়ে দেন মোস্তাফিজ। পরের দুই বল ডটের পর চতুর্থ বলে মিচেল স্টার্ক আউট। মোস্তাফিজ এই উইকেট নিয়ে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি হয়ে যান। পঞ্চম বলে আসে এক রান। শেষ বলে বাই থেকে আরও এক রান।

অসাধারণ বোলিংয়ে মোস্তাফিজ দলের লক্ষ্যকে নাগালের বাইরে যেতে দেননি, যা ব্যাটসম্যানরা অনায়াসে ছুঁয়ে ফেলেন। গায়কোয়াড় ৫৮ বলে ৬৭ রান করেন ৯ চারে। এ ছাড়া ডার্ল মিচেল ২৫ এবং শিভাম দুবের ব্যাট থেকে আসে ২৮ রান। ৪ ম্যাচে মোস্তাফিজ ১২৮ রানে ৯ উইকেট পেয়েছেন। সূত্র : আমাদের সময়