মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস চক্রের বিরুদ্ধে সিআইডির চলমান অভিযানে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষিকা ও ছয় চিকিৎসকসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত ৩০ জুলাই থেকে ২০ আগস্ট পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন জেলায় অভিযান পরিচালনা করে মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত ১২ চিকিৎসকসহ ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় সিআইডির সাইবার টিম। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ১০ জন মেডিক্যাল প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
গ্রেপ্তার আসামিদের কাছে থেকে মেডিক্যাল প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত চক্রের অন্যান্য সদস্য ও মেডিক্যালে প্রশ্নপত্রের মাধ্যমে অসাধু উপায়ে বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হওয়া অসংখ্যা শিক্ষার্থীর নাম পাওয়া যায়।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ১০ থেকে ১২ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মেডিক্যাল প্রশ্ন ফাঁস চক্রের অন্যতম হোতাসহ সাতজনকে গ্রেপ্তারে সক্ষম হয় সিআইডির সাইবার টিম।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মাকসুদা আক্তার মালা (৫২), ডাক্তার কে এম বশিরুল হক (৪৮), ডাক্তার অনিমেষ কুমার কুন্ডু (৩৩), ডাক্তার জাকিয়া ফারইভা ইভানা (৩৫), ডাক্তার সাবরিনা নুসরাত রেজা টুসী (২৫), ডাক্তার জাকারিয়া আশরাফ (২৬) ও ডাক্তার মৈত্রী সাহা (২৭)।
গ্রেপ্তারকৃত মাকসুদা আক্তার মালা (৫২) ঢাকার মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষিকা। ২০১৫ সালে নিজের মেয়ে ইকরাসহ আরও ৭ শিক্ষার্থীকে ফাঁসকৃত প্রশ্নপত্রের মাধ্যমে বিভিন্ন সরকারি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করিয়েছেন তিনি।
গ্রেপ্তাররকৃত ডা. কে এম বশিরুল হক (৪৮) থ্রি ডক্টরস কোচিং সেন্টারের পরিচালক। দীর্ঘদিন ধরে প্রশ্ন ফাঁস চক্রের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। প্রশ্ন ফাঁসের মাধ্যমে অসংখ্য শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করিয়েছেন তিনি।
গ্রেপ্তারকৃতদের মিরপুর মডেল থানার মামলায় আদালতে পাঠানো হয়েছে। তাঁদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে আটটি মোবাইল ফোন, বিভিন্ন ব্যাংকের চেক বই, ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড ।
