নোয়াখালী সদর উপজেলায় দাবি করা চাঁদার টাকা নিতে এসে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) জালে ধরা পড়েছেন পাঁচ পেশাদার ছিনতাইকারী। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ছিনতাইয়ের পাঁচ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়েছে। খবর জাগো নিউজের।
গত মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) বিকেলে সুধারাম থানায় মামলা করে ছিনতাইকারীদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে, সোমবার (১৮ জুলাই) রাতে ভুক্তভোগী নিজাম উদ্দিনের (৩৪) কাছ থেকে দাবি করা চাঁদার টাকা নিতে এলে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন নোয়াখালী পৌরসভা ৩ নম্বর ওয়ার্ডের লক্ষ্মীনারায়ণপুর গ্রামের কাশেম উকিল মোড় এলাকার মো. রাশেদ খান রাফি (৩২), আশরাফুল শাহরিন শান্ত (২৩), হাবীবুর রহমান জীবন (২৫), মো. সুজন (২৫) ও সুপার মার্কেটের মোবাইল ব্যবসায়ী মো. আরিফ হোসেন (২৩)।
ভুক্তভোগী নিজাম উদ্দিনের কাছ থেকে জানা যায়, ৫ জুলাই রাত ৮টার দিকে রিকশাযোগে তিনি মাইজদী নতুন কলেজ রোড দিয়ে বাড়ি যাওয়ার সময় কাশেম উকিল মোড়ে রাফি, শান্ত, জীবন ও সুজন তাঁকে রিকশা থেকে নামিয়ে বেদম মারধর করেন এবং সঙ্গে থাকা দুটি মোবাইল সেট ও ৫০ হাজার ৭০০ টাকা ছিনিয়ে নেন।
এরপরও রাত ১১টা পর্যন্ত তাঁকে আটক রেখে হত্যার ভয় দেখিয়ে মোবাইলে তাঁর স্ত্রীর কাছে আরও ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন তাঁরা। পরে নিরুপায় হয়ে তাঁর স্ত্রী তাঁদের বিকাশে আরও ২০ হাজার ৪০০ টাকা পাঠালে তাঁকে ছেড়ে দেন।
এরপর মঙ্গলবার আসামি রাফি তাঁর মোবাইল থেকে নিজামউদ্দিনের স্ত্রীকে ফোন করে মুক্তিপণের আরও ১০ হাজার টাকা দাবি করেন। পরে বিষয়টি জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসিকে জানালে তিনি বিষয়টি শুনে সাদাপোশাকে ওই এলাকায় অবস্থান করেন।
সেখানে নিজামউদ্দিনের কাছ থেকে টাকা নিতে এলে চার ছিনতাইকারীকে পাঁচ হাজার টাকাসহ আটক করে ডিবি পুলিশ। পরে তাঁদের দেওয়া তথ্যমতে, নোয়াখালী সুপার মার্কেটের মোবাইল দোকানদার আরিফকে নিজামউদ্দিনের একটি মোবাইল (ভিভো) সেটসহ তাঁর দোকান থেকে আটক করে।
নোয়াখালী জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অফিসার ইনচার্জ মো. সাইফুল ইসলাম জানান, গ্রেপ্তার ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে সুধারাম মডেল থানায় দ্রুত বিচার আইনে মামলা করা হয়েছে। পরে আদালতে পাঠালে বিচারক তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
