পুলিশি হেফাজতে চুরির ঘটনায় গ্রেপ্তার আসামিরা। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ।

চট্টগ্রাম জেলার মীরসরাই থানা পুলিশের অভিযানে ১টি এলজি,২ রাউন্ড কার্তুজ, ১টি চোরাই মোটরসাইকেল, ১০টি ল্যাপটপ, ১টি মোবাইল সেট ও নগদ ৩,০০০ (তিন হাজার) টাকাসহ ৩ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন।

সম্প্রতি মীরসরাই থানাধীন সরকারি ইউনিয়ন পরিষদ, ভূমি অফিস এবং বিভিন্ন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে অজ্ঞাতনামা চোরচক্র রাতের বেলায় গ্রীল ও তালা কেটে প্রবেশ করে স্টীলের আলমারি ভেঙ্গে সরকারি ল্যাপটপ, মোবাইল ও নগদ টাকা চুরির ঘটনা ঘটে।

এসব চুরির ঘটনায় অপরাধীদের গ্রেপ্তার, চোরাই মাল উদ্ধারসহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার এস. এম. শফিউল্লাহ্ বিপিএমের কঠোর নির্দেশের প্রেক্ষিতে সহকারী পুলিশ সুপার (মীরসরাই সার্কেল) মো. ইফতেখার হাসান পিপিএম(বার) এর তত্ত্বাবধানে অফিসার ইনচার্জ মো. কবির হোসেনের নেতৃত্বে দফায় দফায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।

এরই ধারাবাহিকতায় গত ১১ ফেব্রুয়ারি দুপুর সোয়া ২টার সময় মীরসরাই থানাধীন খৈয়াছড়া ইউনিয়নের বড়তাকিয়া চক্ষু হাসপাতালের সামনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অভিযান চালিয়ে ১টি চোরাই মোটরসাইকেল ও কাঁধ ব্যাগসহ আসামী মো. হুমায়ুন কবিরকে একটি কাঁধ আটক করা হয়। এ সময় মোটরসাইকেলের অপর আরোহী আসামি রুবেল পালিয়ে যান। উপস্থিত সাক্ষীদের সামনে আসামি মো. হুমায়ুন কবিরের দেহ ও ব্যাগ তল্লাশি করে পরনের জিন্সের প্যান্টের ডান কোমড়ে গোঁজা অবস্থায় ১টি দেশীয় বন্দুক (এলজি), ২ রাউন্ড সীসা কার্তুজ, ১ টি লোহার তৈরি ছোট শাবল,১ টি ফ্রেমসহ হ্যাক্সা ব্লেড, ১টি মোবাইল ফোন, ১টি ১০০ সি.সি ডিসকভার মোটরসাইকেল ও নগদ ৩ হাজার টাকা উদ্ধার করে জব্দ করা হয়।

গ্রেপ্তার আসামি মো. হুমায়ুন কবিরকে অতঃপর জিজ্ঞাসাবাদে সে মীরসরাই থানা এলাকার বিভিন্ন স্কুল, ইউনিয়ন পরিষদ ও ভূমি অফিস চুরির ঘটনা স্বীকার করেন। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ১১ ফেব্রুয়ারি বিকেল সাড়ে ৪টার সময় সিএমপির বায়েজিদ বোস্তামী থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসামি দেলোয়ার হোসেন(৩৮) ও মো. আক্তারুজ্জামান রাজুকে(৩২), গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার আসামিদের দেখানো মতে বায়েজিদ কাঁচাবাজার রোড আবাসিক এলাকায় আসামী দেলোয়ার হোসেনের ভাড়াবাসা হতে মীরসরাই ও জোরারগঞ্জ থানা এলাকা থেকে বিভিন্ন সময় চুরি ও ডাকাতি করে নেওয়া বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ১০টি চোরাই ল্যাপটপ ও ১টি মোবাইল উদ্ধার করা হয়।

আসামিদের গ্রেপ্তার ও মালামাল উদ্ধারের ফলে মীরসরাই থানার ৩টি ক্লুলেস চুরির মামলা এবং জোরারগঞ্জ থানার ১টি ক্লুলেস ডাকাতি মামলার রহস্য উদঘাটন সম্ভব হয়েছে।

গ্রেপ্তার আসামিদের বিরুদ্ধে মীরসরাই থানায় মামলা করার পর তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের মিডিয়া মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আবু তৈয়ব মো. আরিফ হোসেন বলেন, অপরাধের উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেপ্তারসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ। ফৌজদারি অপরাধ যেমন- চুরি, ছিনতাই, মাদক, নারী নির্যাতনসহ শান্তিবিনষ্টকারী অপরাধ, উগ্রবাদ, সাইবার অপরাধের সাথে যেই জড়িত থাকুক না কেন, তাকে আইনের আওতায় আনতে বদ্ধপরিকর টিম চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ।