পুলিশের হেফাজতে গ্রেপ্তার ৫ চোর। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ।

চুয়াডাঙ্গা জেলার সদর থানায় চুরির ঘটনায় মামলা হওয়ার ১২ ঘণ্টার মধ্যে চোরাই মালপত্র উদ্ধার ও পাঁচ চোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

চুয়াডাঙ্গা থানাধীন দৌলতদিয়াড় গ্রামের মো. মিনহাজুল আবেদীন টোটন (৩৪) ৯ আগস্ট চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় অজ্ঞাতনামা চোরদের বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করেন। এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন, গত ২ আগস্ট তিনি তাঁর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে দৌলতদিয়াড় ফায়ার সার্ভিসপাড়ার বাসায় তালা দিয়ে গ্রামের বাড়ি জীবননগর থানাধীন নতুন চাকলা গ্রামে বেড়াতে যান। ৬ আগস্ট আনুমানিক বেলা ১১টায় ইউপি সদস্য তোষারেফ হোসেন মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানান, তাঁর বাসার ঘরের তালা ও সিঁড়িঘরের গ্রিল ভাঙা। এ খবর পেয়ে তিনি বাসায় এসে ঘটনার সত্যতা পান। তিনি খোঁজ নিয়ে দেখেন, চোরের দল তাঁর বাসা থেকে স্বর্ণের হার, চেইন, কানের দুল, আংটি ও ঘরের অন্যান্য জিনিস চুরি করে। চোরেরা মোট ৩ লক্ষ ৩৩ হাজার টাকার মালপত্র চুরি করে নিয়ে গেছে।

চুয়াডাঙ্গা থানা পরে এই এজাহারকে মামলা হিসেবে গ্রহণ করে।

এ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে চুয়াডাঙ্গা জেলার পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন তাৎক্ষণিকভাবে চোরাই মালপত্র উদ্ধার ও আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য চুয়াডাঙ্গা থানা-পুলিশকে নির্দেশনা দেন।

পুলিশ সুপারের নির্দেশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামানের তত্ত্বাবধানে চুয়াডাঙ্গা থানার একটি টিম তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় সদর থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৫ চোরকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মো. মনিরুজ্জামান ডাবলু (৩৯), মো. রাজীব আহম্মেদ (৩০), মো. আলমগীর হোসেন লজেন্স (৪৫), মো. মনিরুজ্জামান (৫৩), মো. লাল্টু ওরফে আকাশ (৩৫)।

গ্রেপ্তার আসামিদের স্বীকারোক্তি ও দেখানোমতে বাদীর চুরি যাওয়া ১টি স্বর্ণের চিক, ২টি স্বর্ণের কানের দুল, ২টি স্বর্ণের কানের রিং, ২টি স্বর্ণের হাতের বালা, ১টি স্বর্ণের আংটি, ১টি পানির পাম্প (গাজী মটর), ১টি কারি কুকার, ১টি ফ্রাইপ্যান ও ২টি ফ্লাস্ক উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তার আসামিদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।