পুলিশের হেফাজতে গ্রেপ্তার তিন আসামি। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ।

মানিকগঞ্জের দৌলতপুর থানায় দায়ের করা চুরির মামলার তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তাররা হলেন-নীলচান শেখ (৪৫) বাধন সরকার (১৬) ও মো. আকাশ মিয়া (১৬)।

জানা গেছে, ১৯ ডিসেম্বর বেলা ৩টার সময় বাদী শিবালয় থানাধীন জাফরগঞ্জ হরিসভায় নাম যজ্ঞ অনুষ্ঠানে যান। বিকাল ৫টার সময় বাদী ও তার পরিবারের লোকজন বাড়িতে ফিরে এসে দেখেন যে, ঘরের দরজা ভাঙ্গা। বাদী তাৎক্ষণিকভাবে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে দেখেন যে, ঘরে থাকা ষ্টিলের আলমারির তালা ভেঙ্গে নগদ টাকাসহ, একটি এনড্রয়েড মোবাইল ফোনসহ বেশ কিছু স্বর্ণালংকার চুরি হয়েছে।যেগুলোর সর্বমোট মূল্য ৮৪ হাজার ৭০০টাকা। বাদী পরে জানতে পারেন যে, ওইদিন বিকাল বেলায় তার প্রতিবেশী বিল্টু চক্রবর্তীর বাড়ীতেও চুরি হয়েছে। এ বিষয়ে বাদীর অভিযোগের ভিত্তিতে
দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ অজ্ঞাতনামা চোর/চোরদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

মামলা হওয়ার পর মানিকগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার জনাব মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) সুজন সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) ইমতিয়াজ মাহবুবের কাছ থেকে প্রাপ্ত দিক নির্দেশনা এবং মানিকগঞ্জের শিবালয় সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মারুফা নাজনীন এবং দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ সুমন কুমার আদিত্য, পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত রনজিৎ সাহার সার্বিক সহযোগিতায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই মনোরঞ্জন সরকারসহ কয়েকজন পুলিশের সমন্বয়ে গঠিত একটি চৌকস অভিযানিক টিম ওই সিঁধেল চুরি মামলার রহস্য উদঘাটনের লক্ষে সোর্স নিয়োগ করে অক্লান্ত পরিশ্রম করে। মামলা রুজুর দিনই টিমি মামলার ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে তথ্য সংগ্রহ করেন। বাদীসহ ঘটনাস্থলের আশপাশের লোকজনদের মামলার ঘটনা সংক্রান্তে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারেন চুরির ঘটনার সময় ঘটনাস্থলের আশপাশে আইনের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িত শিশু বাধন সরকার (১৬) এবং মো. আকাশ মিয়াকে (১৬) সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখা গেছে।

তদন্তকারী অফিসার তথ্যের ওই ভিত্তিতে সংগীয় ফোর্সসহ অভিযান পরিচালনা করে বাধন সরকারকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে ঘটনার সঙ্গে জড়িত আছে মর্মে স্বীকার করে এবং চুরির ঘটনায় আরও এক শিশু মো আকাশ শেখ (১৬) জড়িত আছে বলে জানায়। বাধন সরকারের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে তার পিতার পশ্চিম দুয়ারী চৌচালা টিনের বসত ঘরের শয়ন চৌকির তোষকের নিচ হতে চুরি যাওয়া এনড্রয়েড মোবাইল ফোন উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজনদের মোকাবিলায় জব্দ তালিকা মূলে জব্দ করা হয়। পরে বাধন সরকারকে সংগে নিয়ে অভিয়ান পরিচালনা করে মো. আকাশকে আটক করা হয়। আকাশকে জিজ্ঞাবাদ করে তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক আসামি মো. নীলচান শেখের (৪৫) টিনের তৈরি বসত ঘরের একটি চৌকির তোষকের নিচ হতে চুরি যাওয়া স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তার আসামিদের আজ ২৭ ডিসেম্বর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।