পুলিশি হেফাজতে আসামিরা। ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ

অটোরিকশা চালক নয়ন হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন করেছে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থানা-পুলিশ। এ ঘটনায় চার আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সোমবার (১৭ জুলাই) কেরানীগঞ্জ থানাধীন পশ্চিম খোলামোড়া টিনের মসজিদ এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

আসামিরা হলেন শরীয়তপুরের জাজিরা থানা এলাকার মো. রিয়াজ (২২), ঢাকার কামরাঙ্গীরচর থানা এলাকার মো. রবিন (২৩) এবং কেরানীগঞ্জ থানা এলাকার মো. মনির (২২) ও মো. সজিব (২৪)।

কেরানীগঞ্জ থানা-পুলিশ জানায়, গত ৮ জুলাই জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরের মাধ্যমে খবর পেয়ে কেরানীগঞ্জ থানাধীন জিয়ানগর থেকে একটি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ভুক্তভোগী মো. নয়নের (২০) লাশ শনাক্ত করেন তাঁর ভাই কালু মাতবর (৪০)। নয়নের বাড়ি শরীয়তপুরের পালং থানা এলাকায়। এ ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন কালু।

পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ঘটনার দিন নয়নের অটোরিকশায় অজ্ঞাতপরিচয় তিন ব্যক্তি ছিলেন। তদন্তের এক পর্যায়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িত অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের শনাক্ত করা হয়।
নয়নের ঘনিষ্ঠ বন্ধু রবিনকে জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসে এবং হত্যার মূল রহস্য উন্মোচিত হয়। পরে তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানান, ঘটনার দিন নয়ন তাঁদের ইয়াবা বড়ি খাওয়ানোর কথা বলে চারতলা মসজিদ সংলগ্ন মাঠে আসতে বলেন। কিন্তু তাঁরা আসার পর মাদক বিক্রির পাওনা টাকা দাবি করেন নয়ন। টাকা না দিলে ইয়াবা বড়ি খাওয়াবেন না বলে জানান নয়ন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে নয়নের পিঠে চাকু দিয়ে আঘাত করেন সজিব। এরপর বাকিরা নয়নকে চাকু দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করতে থাকেন। এক পর্যায়ে নয়নের মৃত্যু হয়।

পুলিশ জানায়, আসামিদের কাছ থেকে নয়নের অটোরিকশা উদ্ধার করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দুটি সুইচ গিয়ার চাকু জব্দ করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত অপর আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।