মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে পরিচয়পত্র পেশ করেন ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের মনসুর চাভোশি। ছবি: বাসস

মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইরান ও ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূতেরা পরিচয়পত্র পেশ করেছেন। ২৯ আগস্ট (সোমবার) বঙ্গভবনে তাঁরা মহামান্য রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে পরিচয়পত্র পেশ করেন। খবর বাসসের।

এই দুই রাষ্ট্রদূত হলেন ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের মনসুর চাভোশি এবং ব্রাজিলের পাওলো ফার্নান্দো দিয়াস ফেরেস। বঙ্গভবনে পৌঁছানোর পর প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের (পিজিআর) একটি অশ্বারোহী দল দুই রাষ্ট্রদূতকে গার্ড অব অনার প্রদান করে। সেনাবাহিনীর ব্যান্ড সংশ্লিষ্ট দেশের জাতীয় সঙ্গীতও বাজায়।

রাষ্ট্রপতির প্রেসসচিব মো. জয়নাল আবেদীন জানান, দুই রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র গ্রহণ করে মহামান্য রাষ্ট্রপতি দুই দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের প্রশংসা করেন। রাষ্ট্রপ্রধান বিশেষ করে পারস্পরিক সুবিধার জন্য বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধিতে দূত হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের জন্য তাঁদের প্রতি আহ্বান জানান। এখানে তাঁদের নিজ নিজ দায়িত্ব পালনকালে দেশগুলোর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও সম্প্রসারিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন মহামান্য রাষ্ট্রপতি।

পরিচয়পত্র জমা দেওয়ার পরপরই ইরানের রাষ্ট্রদূত মহামান্য রাষ্ট্রপতির সঙ্গে একটি সংক্ষিপ্ত বৈঠক করেন। বিভিন্ন ক্ষেত্রে ইরান ও বাংলাদেশের সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার উল্লেখ করে মহামান্য রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ ও ইরানের সংস্কৃতি এবং ইতিহাসের অনেক মিল রয়েছে। মহামান্য রাষ্ট্রপতি রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘ এবং ওআইসিতে জোরালো সমর্থনের জন্য ইরানকে ধন্যবাদ জানান।

পরে লাতিন আমেরিকার সবচেয়ে বড় দেশ ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকে মহামান্য রাষ্ট্রপতি বলেন, দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভবিষ্যতে যাতে এই সম্পর্ক আরও বৃদ্ধি পায়, সে জন্য দুই দেশের ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে পারস্পরিক সফর বিনিময়ের প্রতি গুরুত্বারোপ করেন মহামান্য রাষ্ট্রপতি। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ওষুধসহ বিশ্বমানের অনেক পণ্য উৎপন্ন করে, যেগুলো ব্রাজিল আমদানি করতে পারে। রাষ্ট্রপ্রধান ব্রাজিলে বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগেরও আহ্বান জানান।

মহামান্য রাষ্ট্রপতি ঢাকায় নতুন রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে দুই দেশের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

এ সময় রাষ্ট্রপতির সংশ্লিষ্ট সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।