ধ্বংসস্তূপে কেউ আটকে পড়ে আছেন কি না, তা খোঁজা হচ্ছে। তুরস্কের হাতা এলাকায়। ছবি: এএফপি।

ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় নিহত মানুষের সংখ্যা ৫ হাজার ছাড়িয়েছে। শুধু তুরস্কেই ৩ হাজার ৪১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর সিরিয়ার সরকার ও বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে মারা গেছে ১ হাজার ৬০২ জন। দুই দেশ মিলে ভূমিকম্পে নিহত মানুষের সংখ্যা বেড়ে ৫ হাজার ২১ জনে দাঁড়িয়েছে।

তুরস্ক ও সিরিয়ার সরকার ও হাসপাতাল সূত্রে এএফপি নিহতের এ সংখ্যা জানিয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও অনেক বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) কর্মকর্তারা আভাস দিয়েছেন নিহত মানুষের সংখ্যা ২০ হাজারে পৌঁছাতে পারে।

গতকাল সোমবার তুরস্কের স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে এই ভূমিকম্প হয়। সিরিয়ার সীমান্তবর্তী তুরস্কের গাজিয়ানতেপ শহরের কাছে ছিল ভূমিকম্পটির কেন্দ্র। ভূপৃষ্ঠের ১৭ দশমিক ৭ কিলোমিটার গভীরে ছিল এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল। ভূমিকম্পের পর অর্ধশতাধিক পরাঘাত হয়।

ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় ধসে পড়েছে হাজার হাজার ঘরবাড়ি, যার মধ্যে অনেক বহুতল ভবন রয়েছে।

এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, আজ হিমশীতল ও গুমোট আবহাওয়ার মধ্যেই দুই দেশের উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংসাবশেষে আটকে পড়া মানুষদের জীবিত উদ্ধারের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

ভূমিকম্পে যেসব মানুষ প্রাণে বেঁচে গেছেন তারাও বহুতল ভবনের ধ্বংসাবশেষ থেকে স্বজনদের উদ্ধারের আশায় খালি হাতেই অভিযানে অংশ নিয়েছেন।

ভূমিকম্পে তুরস্ক-সিরিয়ায় ঐতিহাসিক স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত

ভূমিকম্পের পর পরাঘাত অব্যাহত থাকায় স্থানীয় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তারা বাড়ি ফিরতে ভয় পাচ্ছে।

গতকালের ভূমিকম্পের পর বিভিন্ন দেশ-সংস্থা তুরস্ক ও সিরিয়ায় সহযোগিতার ঘোষণা দিয়েছে। তুরস্কে ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সূত্র: প্রথম আলো।